বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। ফাইল চিত্র।
উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য বা অংশবিশেষ কেটে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রসঙ্গ আমলই দিলেন না বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক তথা এ রাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। আগামী দিনে উত্তরবঙ্গে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল কিংবা আলাদা রাজ্য হতে পারে কি না, জানতে চাওয়া হলে সোমবার বনসল বলেছেন, ‘‘বলছি তো, এমন কোনও আওয়াজই নেই ওখানে।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সম্প্রতি একাধিক বার বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য ভাগের বিষয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও সুকান্তের দাবিকে প্রাধান্য না দিয়ে গ্রেটার কোচবিহার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত রায় (মহারাজ) দাবি করেছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি কেন্দ্রীয় সরকারের কেউ নন। প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে তিনি এ-ও দাবি করেন, এ রাজ্যের অংশ নিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হওয়া সময়ের অপেক্ষা। উত্তরবঙ্গ সফরে আসা বনসলের সঙ্গে শিলিগুড়িতে সম্প্রতি দেখা করার পরেও নিজের দাবি থেকে সরেননি অনন্ত। যদিও সে দিনই বিজেপি সূত্রে বলা হয়েছিল, এমন কোনও বার্তাই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা বনসল দেননি অনন্তকে। কার্যত সেই কথারই উল্লেখ করে বনসল এ দিন দাবি করেন, ‘‘এমন কোনও বিষয়ে চর্চা-ই হয়নি।’’
অনন্তর পাল্টা খোঁচা, ‘‘আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের যদি আওয়াজই না থাকে, তা হলে বিজেপি এত আসন পেল কী ভাবে? তার পরেও যদি উত্তরের গুরুত্ব না বোঝে, তা হলে আগামী দিনে উত্তরেও বিজেপি হাওয়া হয়ে যাবে।’’ গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের সাতটিতে জিতেছিল বিজেপি। বিধানসভা ভোটেও দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরে ভাল ফল করে তারা। কিন্তু গোটা রাজ্যে তারা ৭৭টি আসনেই আটকে যায়। ঘটনাচক্রে, তার পর থেকেই উত্তরবঙ্গ রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবির কথা বলতে শুরু করেন বিজেপি সাংসদ, বিধায়কেরা। এখন অবশ্য বিজেপির একটি সূত্রে বলা হচ্ছে, দলের একাংশ এখন মনে করছেন, রাজ্য ভাগের দাবিই দক্ষিণবঙ্গে বিজেপিকে ক্রমশ কোণঠাসা করেছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা অবশ্য বলছেন, রাজ্য ভাগের দাবি উত্তরের সব মানুষের মধ্যে সমান ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি। রাজ্য ভাগের ‘চক্রান্তের’ বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রতিবাদ জানানো রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহের বক্তব্য, ‘‘মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা থেকে শুরু করে বিজেপির একাধিক বিধায়ক আলাদা রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছিলেন। তাঁরা কি এ বার ভুল স্বীকার করবেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy