কিঞ্জল নন্দের কাছ থেকে কী কী তথ্য জানতে চাইল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল? —ফাইল ছবি।
আসফাকুল্লা নাইয়াকে আগেই নোটিস ধরিয়েছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। তাঁকে তলব করেছিল পুলিশও। তা নিয়ে শোরগোলের মধ্যে এ বার তাঁরই সতীর্থ কিঞ্জলের সম্পর্কে জানতে আরজি কর কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে সাত দিনের মধ্যে। এ বিষয়ে কিঞ্জলের বক্তব্য, তিনি কোনও নিয়ম-বহির্ভূত কাজ করেননি। আরজি কর আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই কাউন্সিলের এই পদক্ষেপ।
কিঞ্জল দীর্ঘ দিন ধরেই অভিনয় করেন। সম্প্রতি বিজ্ঞাপনেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। হাসপাতালের কাজকর্ম সামলে তিনি কী ভাবে শুটিংয়ের কাজ করেন, সে ব্যাপারেই খোঁজ করেছে কাউন্সিল। কাউন্সিল সূত্রে খবর, বিজ্ঞাপনের শুটিং করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে অনুমতি দিয়েছিল কি না, অর্থাৎ কিঞ্জলকে ‘এনওসি’ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কি না, তা-ই জানতে চাওয়া হয়েছে। কিঞ্জল আরজি কর হাসপাতালের পিজিটি (পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেনি)। নিয়ম হল, পিজিটি-দের হাসপাতালে উপস্থিতির হার ৮০ শতাংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিঞ্জলের তা রয়েছে কি না, তা অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও জানতে চাওয়া হয়েছে, পিজিটি হিসাবে কিঞ্জল কত ভাতা পান, এখনও পর্যন্ত কতগুলি ছুটি তিনি ব্যবহার করেছেন ইত্যাদি। কমিশনের সূত্রে জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে কিঞ্জল সম্পর্কে যে রিপোর্ট আসবে, তা স্বাস্থ্য ভবনে পাঠানো হবে।
এ ব্যাপারে কিঞ্জল বলেন, ‘‘আমি কাজের সময়ের পরে কী করব, তা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। মেডিক্যাল কাউন্সিলের এই তৎপরতা দেখে আমার ভাল লাগছে। কিন্তু সন্দীপ ঘোষেদের বিরুদ্ধে যখন আমরা অভিযোগ করেছিলাম, তখন তারা নীরব ছিল। যেটা উদ্বেগজনক। আসফাকুল্লা নাইয়ার পর এ বার আমি। প্রতিবাদ করেছিলাম বলেই এই তৎপরতা। আমার পর অন্য কেউ হয়তো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy