সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেড়ে যাওয়া আসনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম এখনও ঘোষণা করতে পারেনি দিল্লি।—ফাইল চিত্র
এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেড়ে যাওয়া আসনে কোনও নাম ঠিক হয়নি। বাংলার কংগ্রেসে এখন সব দিক থেকেই অচলাবস্থা! বিধানসভা ভোটের যখন বেশি দেরি নেই, তখন দিল্লির বার্তায় অপেক্ষায় বসে থেকে হতাশায় ভুগছেন রাজ্যে দলের নেতারাই।
কংগ্রেস বরাবরই সভাপতি-কেন্দ্রিক দল। রাজনৈতিক কৌশল থেকে শুরু করে সাংগঠনিক তৎপরতা, সবই সভাপতির সম্মতি সাপেক্ষে হয়ে থাকে। এখন সভাপতিহীন অবস্থায় কংগ্রেসের যেমন নিজস্ব কর্মসূচি থমকে গিয়েছে, তেমনই বামেদের সঙ্গে সমন্বয় করে যৌথ কর্মসূচিও এগোচ্ছে না।এমনকি, স্মরণ-সভার মতো আপাত-নিরীহ উদ্যোগও হচ্ছে না।
প্রয়াত সভাপতি সোমেনবাবুর স্মরণ-সভার আয়োজন করেও করোনা পরিস্থিতিতে তাঁর পরিবারের আপত্তিতে প্রদেশ কংগ্রেসকে পিছিয়ে আসতে হয়েছিল। সদ্যপ্রয়াত প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কলকাতায় তাঁর স্মরণ-সভা করতে আগ্রহী কংগ্রেস নেতৃত্বের অনেকেই। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি না থাকায় দলের তরফে এখন তেমন আয়োজনে তৎপরতা দেখানো হচ্ছে না।
দুই প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য ও অধীর চৌধুরী দফায় দফায় এআইসিসি-র সঙ্গে কথা বলেছেন। দলের একটি সূত্রের ইঙ্গিত, সর্বভারতীয় কংগ্রেসে সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ঢেলে সেজে রাজ্য থেকে জেলা, সব স্তরেই পদাধিকারী নির্বাচন হতে পারে। কিন্তু প্রদীপবাবুদের যুক্তি, বাংলার বিষয়টা ব্যতিক্রমী। একে এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন, তার উপরে সভাপতি প্রয়াত হয়েছেন। তাই দরকারে অন্তর্বর্তী সময়ের জন্যও কাউকে দায়িত্ব দেওয়া বা কোনও কমিটি গড়ে দেওয়ার পক্ষপাতী তাঁরা। দলীয় সূত্রের খবর, এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কে সি বেণুগোপালের কাছে লোকসভায় দলের নেতা অধীরবাবু অনুরোধ করেছেন, পুরনো কাউকে না করা হলে আব্দুল মান্নান, মনোজ চক্রবর্তী বা নেপাল মাহাতোর মতো নতুন কাউকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হোক। সর্বভারতীয় যুক্তি দেখিয়ে বাংলায় এ ভাবে অচলাবস্থা চালিয়ে গেলে দলের আরও ক্ষতি বই লাভ হবে না, এমন যুক্তিই দিয়েছেন অধীরবাবুরা।
প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘শাসক বা বিরোধী, সব দলই বিধানসভা ভোটের জন্য ঘর গুছোতে নেমে পড়েছে। আমাদের কোনও পরিকল্পনা নেওয়াই যাচ্ছে না। বসে বসে সময় নষ্ট হচ্ছে!’’ অন্য দিকে আবার প্রদেশ সভাপতির অনুপস্থিতিতে বাম নেতৃত্বও কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা এগোতে পারছেন না। অথচ সোমেনবাবুই ভোটের আগে সমঝোতা এবং সেই সূত্রে যৌথ কর্মসূচির বল গড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy