তৃণমূল প্রশ্নে চুপ কেন পার্থ? ফাইল চিত্র।
দিন কয়েক আগে আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই গলা তুলে তিনি বলেছিলেন, তৃণমূলের কেউ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না! বৃহস্পতিবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে তাই জানতে চাওয়া হয়েছিল, তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে কিছু বলতে চান কি না। দেখা গেল, সে কথার জবাব দিলেন না তৃণমূলের প্রাক্তন মহাসচিব। তবে কথা একেবারেই বললেন না তা নয়। স্পষ্ট উচ্চারণে কেটে কেটে বললেন, ‘‘বাংলা শুভ নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’’
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ-সহ ১৪ জনের শুনানি রয়েছে নগর দায়রা আদালতে। এসএসসি সংক্রান্ত সিবিআইয়ের মামলার শুনানি ছিল। সকাল ১১টার কিছু পরে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে পার্থকে নিয়ে হাজির হয় পুলিশের গাড়ি। তবে গাড়ির দরজা খুলতেই সাংবাদিকরা ভিড় করে একের পর এক প্রশ্ন ছুড়ে দেন পার্থকে। কুন্তলের চিঠি থেকে শুরু করে বিরোধীদের বিরুদ্ধে সিবিআই নিষ্ক্রিয় কি না, সে ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়। তবে যে প্রশ্নটি বার বার আছড়ে পড়তে থাকে, তা হল— তাঁর দল তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানোর প্রসঙ্গ। যার জবাবে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি পার্থ।
তৃণমূলের শুরুর দিন থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকেছেন পার্থ। ১৯৯৮ সালে দল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ১৮ বছর পর ২০১৬ সালে জাতীয় দলের তকমা পায় তৃণমূল। পার্থ তখন দলের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সেই বছরই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী হন। পরের বছর শুধু তাঁর জন্যই তৃণমূলে তৈরি হয় ‘মহাসচিব’ পদটি। পরে নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়ার পর দল তাঁকে পদ থেকে সরালেও পার্থ কখনও দলের বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি। বরং বলেছেন তৃণমূলের ক্ষতি কেউ করতে পারবে না। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা হারানো নিয়ে প্রশ্নেও পার্থ কিছু বলবেন, অনুমান ছিল। যদিও পার্থ কথা বললেন না। স্রেফ বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে ধীর পদক্ষেপে ঢুকে গেলেন আদালতের ভিতরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy