—প্রতীকী চিত্র।
শুক্রবার রাত থেকে শনিবারের সকাল মিলিয়ে রাজ্যে একাধিক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল শিশু ও মহিলা-সহ ৭ জনের।
শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়, ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় মা ও শিশুর। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। পাঁচ জন একটি গাড়িতে করে শিলিগুড়ি থেকে মধ্যমগ্রামে ফিরছিলেন। ডাম্পারের সঙ্গে গাড়িটির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রুদ্রাণী দাস (২৬) ও তাঁর ন’মাস বয়সি শিশুসন্তানের। স্বামী সোমনাথ দাস-সহ পরিবারের আরও তিন জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
মুর্শিদাবাদেরই রেজিনগরে শুক্রবার রাতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় এক দম্পতি ও তাঁদের মেয়ের। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতেরা হলেন, বিক্রম হালদার (৪০), অর্চনা হালদার (৩৬) ও অনন্যা হালদার (১৩)। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ মোটরবাইকে দাদপুরের দিকে যাচ্ছিলেন বাবা-মা-মেয়ে। সেই সময় একটি যাত্রিবাহী বাস পিছন থেকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিক্রমের। তাঁর স্ত্রী ও মেয়েকে বেলডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁদের মৃত্যু হয়।
অন্য দিকে, শনিবার ডাম্পার ও মোটরবাইকের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক নাবালিকার। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার দলুয়া মোড় এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম প্রত্যুষা শীল (১২)। বাড়ি ফাঁসিদেওয়া থানার বিধাননগরে। মোটরবাইকে তিন জন আরোহী ছিলেন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁদের দলুয়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকেরা জানান, নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে। বাকি দু’জনকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
এ দিনই বিকেলে বীরভূমের রামপুরহাট থানার তেলডাহা সেতু সংলগ্ন এলাকায়, ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা মেরে মৃত্যু হয়েছে এক মোটরবাইক আরোহীর। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অঞ্জন লেট (২৩)। মল্লারপুর থানার বায়েনপাড়া এলাকায় বাড়ি। আরও দু’জন আরোহী রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy