Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
GTA Teacher Recruitment

জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্ত খারিজ

গত এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। সাধারণ মানুষের চিঠি মারফত অভিযোগ পেয়ে হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা শুরু করেছিল।

Representative Image

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:৪৫
Share: Save:

দার্জিলিং পাহাড়ে জিটিএ-র শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। আজ সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল। এই বিষয়টি ফের কলকাতা হাই কোর্টেই ফেরত পাঠিয়েছে বিচারপতি বি আর গাভাই ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ। বিচারপতিদের মতে, হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিতে তাড়াহুড়ো করেছে।

গত এপ্রিলে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। সাধারণ মানুষের চিঠি মারফত অভিযোগ পেয়ে হাই কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই মামলা শুরু করেছিল। অভিযোগ ছিল, জিটিএ-র নেতা বিনয় তামাং স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সাহায্যে সাতশো থেকে এক হাজার জনকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করেছিলেন। বিচারপতি বসু ৯ এপ্রিল সিবিআইকে দু’দফায় মোট ৭৫২ জনের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন। রাজ্য সরকার এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায়। হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, যে দু’টি বেনামি চিঠিতে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার সত্যতা নিয়েই সন্দেহ রয়েছে। ১৯ এপ্রিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের ডিভিশন বেঞ্চও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে। যদিও রাজ্য পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে বলেও ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল।

এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আসে। কোর্টে রাজ্যের যুক্তি, পুলিশকে তদন্তের সময় না দিয়েই হাই কোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি গাভাইয়ের বেঞ্চ তা মেনে নিয়ে জানিয়েছে, হাই কোর্ট তাড়াহুড়ো করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। বিরল ক্ষেত্রেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। মামলার অন্যতম আইনজীবী রউফ রহিম বলেন, ‘‘রাজ্য পুলিশ আগেই দুর্নীতির অভিযোগে এফআইআর করে তদন্ত করছে।’’ জিটিএ এলাকার সংযুক্ত মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র মনোহর শর্মা বলেন, ‘‘দুর্নীতি, স্বজনপোষণ— কী না বলা হচ্ছিল। আজ পাহাড়ের শিক্ষিক-শিক্ষিকারা খুব খুশি।’’ তিনি জানান, ২০-২৫ বছর ধরে পাহাড়ে স্বেচ্ছায় কাজ করা শিক্ষিক-শিক্ষিকাদের স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে রূপরেখা তৈরিতে নেমেছিল জিটিএ এবং রাজ্য। সেখানে নানা উদ্দেশ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

GTA Teacher Recruitment Supreme Court of India Calcutta High Court CBI
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy