শুভেন্দু অধিকারীর ভাড়াবাড়িতে হানা পুলিশের। ছবি: সংগৃহীত।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়িতে হানা দিল পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, এক দুষ্কৃতীর সন্ধানে গিয়েছিলেন তাঁরা। যদিও বিরোধী দলনেতা এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ‘‘এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব আমি।’’ পাশাপাশি, কোলাঘাট থানার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকেলে শুভেন্দুর পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের বাড়িতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, প্রায় ৭০-৮০ জন পুলিশকর্মী ওই বাড়ি ঘিরে তল্লাশি করেন। পুলিশের তরফে দাবি করা হয়, এক দুষ্কৃতীর খোঁজে তারা সেখানে গিয়েছিল। অন্য দিকে, এই পুলিশি অভিযানের খবর পেয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীরা সেখানে ছুটে যান। পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়। খবর পেয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি থেকে কোলাঘাট থানায় চলে যান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। কিন্তু সেখানে কোনও আধিকারিকের দেখা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। শুভেন্দু জানান, তাঁর কাছে হাই কোর্টের রক্ষাকবচ রয়েছে। পুলিশ কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ করতে পারবে না। আর পুলিশের কাছে যদি ‘সার্চ ওয়ারেন্ট’ থেকে থাকে, তাহলে তাঁর উপস্থিতিতেই তল্লাশি চালাতে পারত পুলিশ। ভিডিয়োগ্রাফি করাতে হবে। সংবাদমাধ্যম উপস্থিত থাকুক। কিন্তু সেটা হয়নি। শুভেন্দুর অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র করছে শাসকদল। তিনি বলেন, ‘‘ভাইপোর নির্দেশে আমার বৃদ্ধ বাবা-মাকেও হেনস্থা করা হয়েছে। মমতার সরকারের অত্যাচারের শিকার আমি।’’ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সংযোজন, ‘‘কেন আমার কোলাঘাটের ভাড়াবাড়ি, অফিসে পুলিশ গেল, তা পরিষ্কার নয়।’’
এখানেই থামেননি শুভেন্দু। বিজেপি নেতা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘‘আমার অনুপস্থিতিতে যদি বাড়িতে ভাঙা দুটো বন্দুক ফেলে আসে, নগদ টাকা বা হেরোইন রেখে যায়, তার দায়িত্ব কে নেবে?’’ এর পর হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, পুলিশের এই পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে তিনি কমিশনে অভিযোগ দায়ের করবেন। প্রয়োজনে আইনি পদক্ষেপও করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy