সুপ্রিম কোর্টে বুধবারও আরজি কর মামলার শুনানি হল না। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
সুপ্রিম কোর্টে আবার আরজি কর মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। এই নিয়ে দু’দিনে তিন বার পিছোল শুনানি। বুধবার শুনানি হল না প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে সকালে না দুপুরে, কখন শীর্ষ আদালত আরজি কর মামলা শুনবে, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। আইনজীবীদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কোর্টকে সময় জানাতে বলেছেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল মঙ্গলবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মামলাটি সে দিন শোনেনি শীর্ষ আদালত। বলা হয়, বুধবার সকালে প্রথমেই এই মামলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে। কিন্তু বুধবার সকালে বেঞ্চ বসলেও আরজি কর মামলা শুনানির জন্য ওঠেনি। পরে জানা যায়, বুধবার বিকেল ৩টেয় এই সংক্রান্ত শুনানি শুরু হবে।
বুধবার বিকেল গড়িয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে আরজি কর মামলা ওঠেনি। বিকেল ৪টে নাগাদ বেঞ্চ উঠে যায় মামলাটি না শুনেই। প্রধান বিচারপতি জানান, সন্ধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যেতে হবে তাঁকে। তাই বৃহস্পতিবার মামলাটি তিনি শুনবেন।
আরজি কর মামলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে রয়েছেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। বুধবার শুনানি হচ্ছে না শুনে তিনি আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানির তারিখ চান। আবার এই সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলাকারীর আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি জানান, সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু বুধবার মামলার কোনও অংশ শুনতে চায়নি বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে শুনানি হবে। এর পর সিব্বল আবার বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সাড়ে ১০টা নাগাদ শুনানি হলে ভাল হয়। এর পরেই প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘‘আপনারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত কোর্টকে জানান। আগামিকাল শুনানি হবে।’’
সুপ্রিম কোর্টে বুধবার আরজি কর মামলার তদন্তের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ জমা দেওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের। সেই সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে রাজ্য সরকারের হলফনামা দেওয়ার কথা ছিল। হাসপাতাল এবং মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যাপারে রাজ্য কী কী কাজ করেছে, তা-ও বুধবার আদালতে জানানোর কথা সরকারের। গত শুনানিতে রাজ্য সরকার আদালতে জানিয়েছিল, অক্টোবরের শেষের মধ্যেই সব কাজ শেষ হবে। সে ব্যাপারে রাজ্যের ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ও দেখার কথা ছিল প্রধান বিচারপতির। বৃহস্পতিবার আদালতে মামলাটি উঠলে সিবিআই এবং রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টগুলি জমা দিতে পারে।
উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করবেন চন্দ্রচূড়। আগামী ৯ এবং ১০ তারিখ যথাক্রমে শনি ও রবিবার হওয়ায় শুক্রবারই শেষ বার তাঁর বেঞ্চ বসবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy