বিক্ষোভ চলছে লেবরশ্বর গ্রামে। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
আবাস যোজনার বাড়ি না-পেয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পাড়ুই থানার লেবরাশ্বর গ্রামে। প্রশাসনের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আবাস (প্লাস ) যোজনা সমীক্ষার কাজ শুরু হতেই নানা দিক থেকে অনিয়েমের অভিযোগ এসেছে। প্রকৃত প্রাপকদের নাম বাদ দিয়ে স্বচ্ছল ব্যক্তিদের নামে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা জুড়েই। দিন কয়েক আগে এমনই অভিযোগে ওঠে পাড়ুই থানার সাত্তোরে। তৃণমূলের সাত্তোর অঞ্চল কমিটির সভাপতি আনোয়ার শিকদারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীর একাংশ। তিনি আবাস যোজনার বাড়ির টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ তোলেন এলাকার কয়েক জন।
এ বার আবাস-দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন লেবরাশ্বর গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, গরিব মানুষেরা আবাস যোজনার বাড়ি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। অথচ এমন বহু লোকের নাম রয়েছে তালিকায়, যাঁদের দোতলা বা তিন তলা বাড়ি রয়েছে। শাসকদলের নেতাদের আত্মীয় হওয়ার সুবাদে কেউ কেউ দুই বা তিনবার বাড়ি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ। প্রকৃত বাড়ির প্রাপকদের নাম প্রথম তালিকায় থাকা সত্ত্বেও সমীক্ষা-পরবর্তী তালিকায় তাঁদের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে বলেও এ দিন অভিযোগ তুলেছেন লেবরাশ্বরের বাসিন্দারা।
স্থানীয় পাড়ুই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সালামতের বাড়ি ঘিরে এ দিন বিক্ষোভ হয়। গ্রামবাসী জ্যোৎস্না বাগদি, রেহেনা বিবি, শেখ আনসার আলিরা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমরা মাটির বাড়িতে বাস করছি। আমাদের মাথার উপরে ছাদ জুটল না। অথচ যারা বড়লোক, তাদের নামে বাড়ি আসছে। আমাদের নামে বাড়ি আসা সত্ত্বেও সেই নাম কেটে দিয়েছেন পার্টির নেতারা। আমরা চাই প্রশাসন পুরো বিষয়টি দেখে আমাদের বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করুক।” ওই পঞ্চায়েত সদস্য শেখ সালামত বলেন, “বাড়ি একেবারে আসেনি, এমনটা নয়। কিছু বাড়ি এসেছে। তবে এখনও অধিকাংশ বাড়ি কাঁচা অবস্থায় রয়েছে। আমিও চাই বিষয়টি প্রশাসন দেখুক।”
মহকুমাশাসক (বোলপুর) অয়ন নাথ বলেন, “এ বিষয়ে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে আবাস যোজনা নিয়ে কারও কোনও অভাব অভিযোগ থাকলে তারা স্থানীয় ব্লক কিংবা আবাস যোজনা সেলে জানাতে পারেন। লিখিত অভিযোগ পেলেই দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy