Advertisement
E-Paper

পথে ‘টাকা আদায়’, সিভিকের িবরুদ্ধে ক্ষোভে অবরোধ

স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ‘টাকা তোলার’ প্রতিবাদ করতে সকাল সাড়ে দশটা থেকে এই মোড়ের কাছাকাছি মুখোমুখি দু’টি ডাম্পার রেখে ব্যারিকেড করে রাস্তা অবরোধ করা হয়।

অবরোধ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে তর্ক।

অবরোধ তুলতে এলে পুলিশের সঙ্গে তর্ক। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৫ ০৮:১৫
Share
Save

মালবাহী গাড়ি দাঁড় করিয়ে সিভিক কর্মীরা টাকা তুলছেন বলে অভিযোগ। ফলে, দিনের ব্যস্ত সময়েও যানজট হচ্ছে। এমনই দাবি তুলে ঘণ্টাখানেক রাস্তা অবরোধ করলেন বাসিন্দারা। রবিবার সকালে বোলপুর শ্রীনিকেতনের রাস্তার পাঁচ মাথার মোড়ের কাছে ওই অবরোধে যানজট হয়। পরে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়। রবিবার বিকেল পর্যন্ত অবশ্য কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন পুলিশ সুপার আমনদীপ।

বোলপুর শহরে ঢুকতে গেলে শ্রীনিকেতন মোড় পেরোতে হয়। ওই মোড়ের এক দিকের রাস্তা চলে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমান এবং অন্য দিকের, রাস্তা ইলামবাজার, সিউড়ি, বোলপুর ও সুরুল গ্রামের দিকে। অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে ওই মোড়ের একাংশে ব্যারিকেড দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণের নাম করে বড় গাড়ি, ট্রাক্টর ও ডাম্পার থেকে সিভিক কর্মীরা নিয়মিত টাকা তুলছিলেন। এতে যানের গতি শ্লথ হয়ে যানজট লেগেই থাকছিল। এ মোড়ের কাছেই রয়েছে তিনটি বাচ্চাদের স্কুল। এই যানজটের কারণে বাচ্চাদের স্কুলে পৌঁছে দিতে গিয়ে অভিভাবকদেরও সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন ‘টাকা তোলার’ প্রতিবাদ করতে সকাল সাড়ে দশটা থেকে এই মোড়ের কাছাকাছি মুখোমুখি দু’টি ডাম্পার রেখে ব্যারিকেড করে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বোলপুর ট্রাফিক গার্ডের ওসি সুমন প্রামাণিক ঘটনাস্থলে গেলে তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। প্রায় ঘন্টাখানেক অবরোধ ও বিক্ষোভ চলার পরে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ এসে আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করেন। এর পরে অবরোধ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জসিমউদ্দিন, শেখ মিরাজুলেরা বলেন, “গত কয়েক মাস ধরে দেখছি যান নিয়ন্ত্রণের নাম করে সিভিক কর্মীরা বিভিন্ন গাড়ি থেকে টাকা তুলছেন। এর ফলে যানজটের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটছে।”

পুলিশের দাবি, জেলাশাসকের নির্দেশে সুরুল থেকে শ্রীনিকেতন হয়ে যে রাস্তাটি বল্লভপুরের দিকে যাচ্ছে, তা দিয়ে ভারী গাড়ি চলাচল সকাল ৭টা থেকে রাত ১১ টা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এই নির্দেশ মানতে গিয়ে যে কিছুটা হলেও যানজট হয় তা মেনেছে পুলিশ। তবে টাকা তোলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তারা। জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bolpur Civic Volunteers

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}