প্রহরা: মৃত নাবালকের বাড়ির সামনে পুলিশ। রবিবার মল্লারপুরে। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম
মল্লারপুর থানার পুলিশ হেফাজতে নাবালক আত্মহত্যা করেছে বলে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হল। রবিবার বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ অ্যান্টিমর্টেম হ্যাঙ্গিং বলে জানা গিয়েছে। চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। ভিসেরা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। কলকাতা থেকে ফরেনসিক বিশেষঞ্জের দল আজ মল্লারপুর থানায় আসছেন।’’
ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে অবশ্য সন্দিহান জেলা বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএম নেতৃত্ব। বিরোধী দলের নেতাদের অভিযোগ, পুলিশের অত্যাচারেই কিশোরের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার পর থেকে মৃতের বাবা-মাকে আড়াল করার জন্য তৃণমূল এবং পুলিশের যোগসাজসের অভিযোগও তোলা হয়েছে। এ দিন, বোলপুর সার্কিট হাউসে জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসক রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সেন অনন্যা চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করে ময়না-তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট তুলে দেন। কমিশনের চেয়ারপার্সেনের কথায়, ‘‘রিপোর্টে কোথাও মারধরের দাগ পাওয়া যায়নি। কেবলমাত্র গলায় ফাঁসে মৃত্যু হয়েছে তার চিহ্ন আছে। তবে কী ভাবে আত্মহত্যা হয়েছে, সেটা তদন্ত সাপেক্ষ।’’
থানার ভিতরে পুলিশ হেফাজতে কী ভাবে এক জন কিশোর আত্মহত্যা করল, সেই নিয়ে নানা প্রশ্ন ঘুরছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যেও। তবে প্রকাশ্যে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মৃত নাবালক রেলপাড় খালাসিপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, চুরির ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে বৃহস্পতিবার বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে থানার ভিতরে বাথরুমে গলায় তার জড়ানো ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়।
রবিবার দুপুরে সিপিএম নেতা রামচন্দ্র ডোম এবং অলোকেশ দাস সহ সংগঠনের অন্য নেতৃত্ব মৃতের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করেন। তাঁদেরকেও মৃতের বাবা পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই বলে জানিয়েছেন। রামচন্দ্র ডোমের কথায়, ‘‘তৃণমূল এবং পুলিশের চাপে এখন হয়ত ওঁরা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই বলে জানাচ্ছেন। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছি। ক্ষতিপূরণের দাবিও জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy