—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
জাতিসত্তার দাবিকে সামনে রেখে ফের আন্দোলনে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে আদিবাসী কুড়মি সমাজ। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের জাতিগত সমীক্ষায় কী তথ্য উঠে এল, তা-ও সরকারের কাছে জানতে চাইবে তারা। গত শনিবার ও রবিবার পুরুলিয়ায় সংগঠনের এক জেলাস্তরের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। পুরুলিয়া ইনডোর স্টেডিয়ামে ওই বৈঠকে জেলার ২০টি ব্লক থেকে দু’শো জন প্রতিনিধি যোগ দেন। ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে শশাঙ্ক মাহাতো, সুজিত মাহাতো-সহ জেলা নেতৃত্ব। লোকসভা ভোট-পরবর্তী সময়ে জাতিসত্তার আন্দোলনকে সামনে রেখে সংগঠন কী ভাবে ফের ময়দানে নামবে, তার রূপরেখাও চূড়ান্ত হয় বৈঠকে।
মূলত জাতিসত্তার আন্দোলন-সহ স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে গত লোকসভা ভোটে লড়েন সংগঠনের মূল ‘মানতা’ অজিত মাহাতো। ভোটে প্রত্যাশিত ফল না হলেও তাঁরা যে জাতিসত্তার আন্দোলন থেকে সরে আসতে রাজি নন, স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন অজিত। দাবি আদায়ে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার টানা রেল অবরোধ-সহ সড়ক অবরোধ করে যাতায়াত স্তব্ধ করেছে সংগঠনটি। লোকসভা ভোটের পরে গত সেপ্টেম্বরেও অনির্দিষ্ট কালের জন্য রেল অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল।
সংগঠন সূত্রে খবর, ওই ঘোষণার কিছু দিন পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাদের প্রতিনিধিদের নবান্নে বৈঠক হয়। তার পরে ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। অজিত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়ায় প্রশাসনিক সভা থেকে জানিয়েছিলেন যে, রাজ্য সরকার জাতিগত সমীক্ষা করছে। তা ছাড়া, নবান্নের বৈঠকে সদর্থক আলোচনা হয়েছিল। পাশাপাশি, রাজ্য সরকার মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের দাবির সমর্থনে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশও করেছিল। তাই গত সেপ্টেম্বরের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম।” সপ্তাহ শেষের বৈঠক থেকে সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশের দাবি উঠেছে জানিয়ে অজিত বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা থেকে সমীক্ষার ঘোষণা করেছিলেন। তাই আমরা প্রশাসনের কাছেও ওই দাবি নিয়ে যাব। জাতিগত সমীক্ষায় কী তথ্য উঠে আসে এবং তার ভিত্তিতে রাজ্য সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয়, সে দিকেই তাকিয়ে আমরা।”
ভোট-পরবর্তী সময়ে এ বার সামাজিক কিছু দাবি-দাওয়া ও কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নামছে সংগঠন। তার মধ্যে কুড়মালি ভাষায় প্রাথমিক স্তর থেকে পঠনপাঠন, নিজেদের সামাজিক রীতি মেনে বিভিন্ন গ্রামে চারা রোপণ-সহ নানা কর্মসূচি রয়েছে। অজিত জানান, চলতি মাসে জেলার প্রতিটি চক্রের অবর স্কুল পরিদর্শকের কাছে প্রাথমিক স্তর থেকে কুড়মালি ভাষায় পঠনপাঠনের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। এ ছাড়া, ভবিষ্যতে জাতিসত্তার আন্দোলনে সংগঠনের রূপরেখা কী হবে, তা নির্ধারণ করতে আগামী ৫-৬ ফেব্রুয়ারি পুরুলিয়ায় চার রাজ্যের প্রতিনিধিদের নিয়ে অধিবেশনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংগঠন। অজিত বলেন, “আমরা রাজ্য সরকারের ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছি। তবে, আমাদের আন্দোলনের পথেই থাকতে হবে। কোন পথে আন্দোলন এগোবে,সেই সিদ্ধান্ত হবে ফেব্রুয়ারির অধিবেশনে।”
বৃদ্ধের অপমৃত্যু
জয়পুর: শ্বশুরবাড়িতে পুজো উপলক্ষে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এক বৃদ্ধ। ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। রবিবার রাতে বাঁকুড়ার জয়পুরের ময়নাপুর গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম আশিস মুখোপাধ্যায় (৬৫)। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারে। মৃতের এক আত্মীয় অশোক ভট্টাচার্য বলেন, “আচমকাই জামাইবাবু অসুস্থ হয়ে পড়েন। অবস্থার অবনতি হলে সঙ্গে সঙ্গে জয়পুর ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। তবে শেষরক্ষা হয়নি।” একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে পুলিশ দেহটি ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠায়।
সৌমিত্রের দাবি
বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর শহরকে ‘জাতীয় হেরিটেজ শহর’ হিসাবে ঘোষণার দাবি জানালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সোমবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি জানান, বিষ্ণুপুরকে হেরিটেজ শহর হিসাবে কেন্দ্র ঘোষণা করলে শহরের সার্বিক উন্নতি হবে। কেন্দ্রের এই সংক্রান্ত পরিকল্পনা রয়েছে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত বলেন, ‘‘মন্ত্রকের বিবেচনায় এ ধরনের কোনও প্রস্তাব নেই। তবে বিষ্ণুপুর মন্দিরকে যাতে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যক্ষেত্র (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট) হিসাবে ঘোষণা করা হয় তার জন্য ইউনেস্কোর কাছে কেন্দ্রের প্রস্তাব জমা দেওয়া রয়েছে।’’ বর্তমানে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের অস্থায়ী তালিকায় (টেনটেটিভ লিস্ট) রয়েছে বিষ্ণুপুরের মন্দিরগুলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy