প্রতীকী চিত্র
জেলার মধ্যে মল্লারপুরে বিজেপির সংগঠন তুলনায় শক্তিশালী। তাই প্রত্যাশিত ভাবেই মল্লারপুরে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বন্ধ কিছুটা হলেও সফল হল। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পুলিশ যেভাবে শাসক দলের হয়ে পক্ষপাত করছে তার বিরুদ্ধেই মানুষ প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, বন্ধের কোনও প্রভাব পড়েনি এলাকায়। মঙ্গলবার ভোর থেকে এলাকায় বৃষ্টির জন্য বাসিন্দাদের অনেকেই বাড়ি থেকে বের হননি। সকাল থেকেই মল্লারপুর স্টেশন সংলগ্ন আনাজ বাজার থেকে কাপড়ের দোকান, স্টেশনারি দোকান, হার্ডওয়্যার দোকান ইত্যাদি সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। মল্লারপুর রেল ফটক থেকে বাহিনা মোড় পর্যন্ত অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। মল্লারপুর ব্যাঙ্ক রোডেও অধিকাংশ দোকান বন্ধ ছিল। এলাকার বাসিন্দারা জানান, মল্লারপুর বাজার এবং ব্যঙ্ক রোডের প্রায় ৭০ শতাংশ দোকান বন্ধ ছিল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ময়ূরেশ্বর ১ পঞ্চায়েত সমিতির মল্লারপুর ১ পঞ্চায়েতে বিজেপি জয়ী হয়। লোকসভা নির্বাচনেও ময়ূরেশ্বর বিধানসভায় বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে এগিয়ে ছিল। এ দিনের বিজেপির ডাকা বন্ধে এই প্রভাব প্রত্যাশিত বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
এ দিন বন্ধ সফল করতে সকাল ১০টার পরে মল্লারপুর এলাকায় বিজেপির জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল, রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহা, জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়, জেলা নেতা মানস বন্দ্যোপাধ্যায়রা মল্লারপুর বাহিনা মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হন। সেখানে একে একে মল্লারপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সমীর লোহার, মণ্ডল সভাপতি শ্যামল বন্দ্যোপাধ্যায়দের নেতৃত্বে দলীয় কর্মীরা এলাকায় জমায়েত করতে থাকেন। বন্ধে দোকানপাট সচল রাখতে পুলিশ মোতায়েন ছিল একাধিক জায়গায়। কিছু জায়গায় পুলিশের সহযোগিতায় দোকান খুললেও বিজেপি কর্মীরা যখন বন্ধের সমর্থনে মিছিল বের করে তখন প্রায় দোকান বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা। দু-এক জায়গায় জোর করে দোকান বন্ধ করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা বাধে। তবে বড় কোনও গোলমাল হয়নি।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তাঁদের দলীয় কর্মী, ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের একটি মণ্ডলের সভাপতি সুশান্ত দে-কে পুলিশ মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করেছে। তিনি পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে মাড়গ্রাম থানায় আছেন। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেফাজত শেষ হচ্ছে। আমরা চাই ওঁকে অবিলম্বে বিনা শর্তে মুক্তি দিতে হবে। তা না ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে মল্লারপুর এলাকায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বিজেপি কর্মীরা।’’ দরকার পড়লে আবার মল্লারপুর বন্ধের ডাক দেওয়া হবে বলে দাবি করেন তিনি। তৃণমূলের অবশ্য দাবি, বিজেপির ডাকা বন্ধে কোনও প্রভাব পড়েনি। দলের ময়ূরেশ্বর ১ ব্লক সভাপতি তথা বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, ‘‘ব্যাঙ্ক রোড, স্টেশন এলাকায় অধিকাংশ দোকান খোলা ছিল। বনধ সার্বিক ভাবে ব্যর্থ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy