—নিজস্ব চিত্র।
স্বাধীনতা দিবসের সকালে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার রাইপুর থানার মটগোদা ও শাড়িগাড়ি গ্রাম লাগোয়া এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত একাধিক পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়েরা। পরে পোস্টারগুলি পুলিশ ছিঁড়ে দেয়।
২০১১ সালের আগে প্রায় প্রতি বছরই নিয়ম করে স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন মাওবাদী কার্যকলাপ চোখে পড়ত বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে। কখনও পোস্টার সাঁটিয়ে, আবার কখনও রাতের অন্ধকারে প্রত্যন্ত এলাকায় কালো পতাকা উত্তোলন করে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিতেন মাওবাদীরা। তবে ২০১১ সালে মাওবাদী নেতা কিষেনজির মৃত্যুর পর আর সে অর্থে মাওবাদী কোনও কার্যকলাপ দেখা যায়নি এ রাজ্যে। ২০২২ সালে বাঁকুড়ার বারিকুল থানা এলাকায় মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে একাধিক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও তাঁদের সঙ্গে সে অর্থে মাওবাদী যোগ খুঁজে পায়নি পুলিশ। আবার স্বাধীনতা দিবসে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের একাধিক জায়গায় মিলল মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার। বৃহস্পতিবার সকালে বাঁকুড়ার রাইপুর থানার মটগোদা আদিবাসী মার্কেট কমপ্লেক্সের গায়ে সাদা কাগজে লাল কালিতে লেখা একটি পোস্টার দেখতে পান স্থানীয়েরা। একই ধরনের পোস্টার চোখে পড়ে রাইপুর থানার শাড়িগাড়ি গ্রামেও।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘বাঁকুড়া জেলায় মাওবাদীদের কোনও কার্যকলাপ নেই। তা সত্ত্বেও আমরা কড়া নজরদারি রেখেছি। এর আগে একাধিক পোস্টার উদ্ধারের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, যারা এই মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার দিয়েছে, তাদের সঙ্গে মাওবাদীদের কোনও যোগ নেই। বিশেষ কারণে উত্তেজনা ছড়াতে দুষ্কৃতীরা গ্রামে বসে এই পোস্টার লিখে রাতের অন্ধকারে দেওয়ালে সাঁটিয়ে দেয়। আমার ধারণা, এ ক্ষেত্রেও তেমন ঘটনাই ঘটেছে। আমাদের ধারণা, সংবাদমাধ্যমের নজর টানতেই স্বাধীনতা দিবসের দিনটিতেই এই পোস্টারগুলি দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। আমরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy