শিল্পকর্মে মগ্ন অদিতি। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী
একান্ন পীঠস্থানগুলি এ বার এক জায়গাতেই দর্শন করার সুযোগ মিলবে পর্যটক থেকে শুরু করে ভক্তদের। এমনই একটি ভাবনা নিয়েছে নলহাটির নলাটেশ্বরী মন্দির কমিটি। আর তা বাস্তবে রূপ দিতে রং, তুলি হাতে কাজও শুরু করে দিয়েছেন কলাভবনের প্রাক্তন ছাত্রী তথা শান্তিনিকেতনের বাসিন্দা অদিতি সিংহ। তাঁকে এই কাজে সাহায্য করছেন স্থানীয় দুই শিল্পী দীপাঞ্জন পালুই ও শ্যামল গুপ্ত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নবরূপে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে নলহাটির নলাটেশ্বরী মন্দিরকে। মন্দিরের বিভিন্ন সৌন্দর্যায়ন যেমন হচ্ছে তেমনই মন্দিরের দেওয়ালে একান্নটি সতীপীঠকে ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরার একটি প্রয়াস নেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ জুলাই বাৎসরিক পুজো রয়েছে। ওই দিনই ভাস্কর্যটির উদ্বোধনের কথাও রয়েছে। মূলত সিমেন্ট, মাটি, প্লাস্টার অফ প্যারিস, রং, তুলি দিয়ে এখন ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে দেওয়ালচিত্র। জেলার বক্রেশ্বর, নন্দিকেশ্বরী, নলাটেশ্বরী, ফুল্লরা, কঙ্কালীতলা- এই পঞ্চ পীঠস্থানের পাশাপাশি ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা সহ পাকিস্তানের মোট একান্নটি সতীপীঠকে তুলে ধরা হবে। ওই সমস্ত পীঠস্থানগুলির ভাস্কর্যের পাশাপাশি থাকছে তাদের বর্ণনাও। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে এখন ব্যস্ত শিল্পীরা।
অদিতি বলেন, “সতীর একান্ন পীঠ নানা জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে, তাই সমস্ত পীঠস্থানগুলি পর্যটক ও ভক্তদের দর্শনের সুযোগ হয়ে ওঠে না। এক জায়গায় যাতে সকলে এই পীঠস্থানগুলি দর্শনের সুযোগ পান তার জন্য মন্দির কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি এই কাজটি সমস্ত পর্যটকদের নজর কাড়বে।” নলাটেশ্বরী মন্দির ট্রাস্ট বোর্ডের সম্পাদক সুনীল কুমার মস্করা বলেন, “আমরা চিন্তা ভাবনা করলাম মন্দির সংস্কার যখন হচ্ছে তখন এমন একটা কিছু করা যাক যাতে মন্দিরের শোভা ও ভক্তের সমাগম বাড়িয়ে তোলা যায়। সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই কাজে আমাদের বিশেষ ভাবে সহযোগিতা করছেন শিল্পী অদিতিদেবী। উনি না থাকলে এই কাজটি করা সম্ভব হয়ে উঠত না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy