—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এ বার বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিরাপত্তায় মহিলা রক্ষীদেরও দেখা যাবে। সদ্য তার ছাড়পত্র দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রাক্তন সেনাকর্মীদের একটি সংস্থা মহিলা নিরাপত্তা কর্মী খুঁজতে তৎপর হয়েছে। তবে এক সঙ্গে প্রচুর মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী পাওয়া নিয়েই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু “হাসপাতাল চত্বরে নজরদারি ক্যামেরার সংখ্যা প্রচুর বাড়ানো হয়েছে। এ বার নতুন করে নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগেও ছাড়পত্র মেলায় আমরা খুশি। মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়োগের কাজ দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা শুরু করেছে। বাড়তি পুলিশও হাসপাতালে রাখার কথা জানিয়েছে জেলা পুলিশ। তাঁদের থাকার জন্য পরিকাঠামো গড়ে দিতে আমরা উদ্যোগী হয়েছি।’’
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আর জি কর কাণ্ডের পরেই বাঁকুড়া মেডিক্যালে নিরাপত্তা রক্ষী বাড়ানোর দাবি জোরাল হয়। সামগ্রিক পরিকাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে স্বাস্থ্যভবনের কাছে ৮৮ জন নিরাপত্তা রক্ষী বাড়াতে প্রস্তাব দেওয়া হয়। স্বাস্থ্যভবন ৭৫ জন নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগে ছাড়পত্র দিয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ এবং ৪৫ জন মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী নিতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালের অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে নিরাপত্তা রক্ষীদের ভিড় সামলানোর কাজে লাগানোর কথা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে বেসরকারি সংস্থার মোট ৬৮ জন রক্ষী মেডিক্যালে রয়েছেন। তবে তাঁরা সবাই পুরুষ। ফলে হাসপাতালে কোনও সমস্যা হলে, সেখানে মহিলা থাকলে তাঁদের সামাল দিতে পুরুষ নিরাপত্তা রক্ষীরা অস্বস্তিতে পড়েন। এ বার স্বাস্থ্যভবনের ছাড়পত্র আসায় পুরুষ-মহিলা মিলিয়ে ১৪৩ জন নিরাপত্তা রক্ষী মেডিক্যালে মোতায়েন করা হচ্ছে। নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই মহিলা নিরাপত্তা রক্ষীর খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যক মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী পাওয়া যায়নি।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের জুনিয়র ডাক্তারেরা মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে হাসপাতালে ওই মহিলাকর্মীদের যাতে সুষ্ঠু পরিকাঠামো দেওয়া হয় সেদিকটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “মহিলা নিরাপত্তা রক্ষী থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই বাড়তি সুবিধা হবে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে যাঁরা নিরাপত্তা দিতে আসবেন, তাঁদের জন্য সুষ্ঠু পরিকাঠামোর ব্যবস্থাও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে করতে হবে।”
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পুলিশ ও বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীদের জন্য পৃথক অফিসের ব্যবস্থা করা রয়েছে। নিরাপত্তা রক্ষীরা হাসপাতালে থাকেন না। তাঁরা কাজ সেরে ফিরে যান। তবে দরকার পড়লে আমরা বাড়তি জায়গার ব্যবস্থা করে দেব।” তিনি জানান, বাঁকুড়া মেডিক্যালে পুলিশ কর্মীর সংখ্যাও বাড়ানোর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। ফলে পৃথক একটি ব্যারাক তৈরির দরকার পড়তে পারে বলেও মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই প্রতিটি ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ ও পৃথক শৌচালয় তৈরি করে দেওয়ার দাবি উঠেছিল।
সে বিষয়ে অধ্যক্ষ জানান, আগেই হাসপাতালের বেশ কিছু ওয়ার্ডে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ ও শৌচালয় ছিল। সদ্য নতুন করে আটটি ওয়ার্ডে বিশ্রামকক্ষ ও শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। আর কোথাও দরকার আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy