অনুব্রত মণ্ডল। —ফাইল চিত্র।
খাস বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডলের ভাইকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। অনুব্রতের ভাই সুমিত মণ্ডলকে রক্তাক্ত অবস্থায় বোলপুর থানার বাইরে বসে থাকতে দেখা যায়। সুমিতের অভিযোগ, পুলিশ তাঁর সঙ্গে অসহযোগিতা করেছে। অভিযোগ গ্রহণ করলেও তাঁর আর্জি মেনে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানোর উদ্যোগী হয়নি। ‘আক্রান্ত’ সুমিতের আরও অভিযোগ যে, অনুব্রতের ভাই বলেই তাঁকে মারধর করা হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
গরুপাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেলে বন্দি৷ সুমিতের অভিযোগ, বোলপুরে অনুব্রতের নিচুপট্টির বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের সময় তাঁকে মারধর করে এলাকার দুই যুবক। মেরে তাঁকে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়। সুমিতের অভিযোগ মোতাবেক, সেই অবস্থায় বোলপুর থানায় আসেন তিনি। কিন্তু থানায় লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি পুলিশ৷ সুমিতের কথায়, “থানায় এসে সবটা জানানো সত্ত্বেও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি৷ অনুব্রতের ভাই বলেই আমাকে মারধর করা হয়েছে। আর যেহেতু আমার দাদা তিহাড়ে বন্দি, তাই পুলিশ অসহযোগিতা করছে। আমি প্রচণ্ড অসুস্থ। এটা বলার পরেও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল না।”
সুমিত আরও বলেন যে, “বিসর্জনের সময় কামরুল আলি এবং আকাশ কুণ্ডু নামের দুই যুবক আমাকে মারধর করে। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয়।” অন্য দিকে, এই ঘটনার ভিডিয়ো পোস্ট করে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি নেতা তথা বোলপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরা। তিনি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে বলেন, “অনুব্রত মণ্ডল তিহাড়ে আর রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁরা তৃণমূল করছেন, কখন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের মাথা থেকে হাত সরিয়ে নেবেন, বুঝতে পারবেন না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy