সভায় অনুব্রত। নিজস্ব চিত্র
সিএএ এবং এনআরসি বিরোধী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভারতীয়ত্ব প্রমাণে পিএমও অফিসের উত্তরকেই হাতিয়ার করলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রধানমন্ত্রীর দিকে কটাক্ষ ছুড়ে বললেন, ‘‘তোমার নথির ঠিক আছে। যে তুমি অন্যের নথি দেখতে চাইছো?’’
দলের সূচি মেনে প্রতি ব্লকে এনআরসি, সিএএ বিরোধীতায় জনসভা করছেন অনুব্রত। মঙ্গলবারের সভা ছিল দুবরাজপুর সারদা ফুটবল ময়দানে। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বিজেপি সরকারকে তীব্র আক্রমণ করছিলেন দুবরাজপুরের সভা থেকেও। অনুব্রত বলেন, ‘‘২০২১ সালের নির্বাচন দুর্দান্ত নির্বাচন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় থাকলে এনআরসি করার ক্ষমতা কারও নেই। কেন কেউ কাগজ দেখাব?’’ তার পরেই একটি কাগজ হাতে নিয়ে কটাক্ষের সুরে অনুব্রতর প্রশ্ন, ‘‘নরেন্দ্র মোদী তোমার অফিসই (পিএমও) বলতে পারেনি কবে তুমি এ দেশে এসেছো। কবে থেকে গুজরাতে বাস করো। তোমার কাগজের ঠিক আছে? তুমি আবার পরের কাগজ দেখতে চাইছো।’’
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন সিএএ ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এনআরসি নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ আন্দোলন চলছে। তারই মধ্যে ১৭ জানুয়ারি শুভঙ্কর সরকার নাম এক ব্যক্তি তথ্যের অধিকার আইনের বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর
নাগরিকত্ব নিয়ে এক আরটিআই করেছিলেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী দফতরের সচিব প্রবীণ কুমারের স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নাগরিকত্বের ৩ নম্বর ধারায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জন্মসূত্রেই ভারতের নাগরিক। তাই তাঁর নথি প্রকাশ্যে আনার কোনও প্রয়োজন নেই। এই জবাবে খুশি নন অনেকেই। দুবরাজপুরের জনসভা থেকে সেটাকেই জনতার সমানে হাতিয়ার করতে চাইলেন নেতা। এমনই মত দলের কর্মী, সমর্থকদের।
এ দিন সভায় মানুষের জন্য বসার আসন না দেওয়া নিয়ে দলের নেতাদের উপরে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। সবচেয়ে বেশি ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দুবরাজপুরের বিধায়ক নরেশচন্দ্র বাউড়ি ও ব্লক সভাপতি ভোলানাথ মিত্রকে। সকলের সামনেই অনুব্রত বলেন, ‘‘ধুলোর মধ্যে বসতে না পেয়ে অনেকে চলে গিয়েছেন। মানুষকে সভার জন্য ডাকলেই হবে না। তাঁকে যথাযথ আদর আপ্যায়ন করতে হয়। মানুষ পাশে না থাকলে আমি কাজ করব কাকে নিয়ে?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy