রাঙা পলাশে সেজে উঠেছে পুরুলিয়া। নিজস্ব চিত্র।
পলাশে লালে লাল হয়ে উঠেছে বসন্তের পুরুলিয়া। মন ভোলানো প্রকৃতি। তবু মন ভাল নেই পুরুলিয়ার পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষদের। কারণ, এই মরসুমেও পর্যটকদের তেমন ভিড় নেই পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে। করোনার সময় তো পুরুলিয়ায় বন্ধই ছিল পর্যটকদের যাতায়াত। এই বসন্তে করোনা সংক্রমণ কমেছে বটে, কিন্তু পর্যটকেরা তেমন আসছেন না।
পুরুলিয়ায় বিখ্যাত ছো নাচের মুখোশ তৈরি করে দিন গুজরান করেন চড়িদা গ্রামের গৌতম সূত্রধর, আনন্দ সূত্রধরের মতো শিল্পীরা। মূলত পর্যটকরাই তাঁদের মূল ক্রেতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ধারদেনা করে প্রচুর মুখোশ তৈরি করেছেন এ বার। কিন্তু বিক্রিবাটা খুবই কম।
বসন্তকাল। এই সময় সুন্দরী পুরুলিয়া পলাশের রঙে সেজে ওঠে। অপরূপ এই সৌন্দর্য মন কাড়তে বাধ্য পর্যটকদের। ফি বছর এই সময়ে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় হয় পুরুলিয়ায়। কিন্তু এ বার কেন এমন অবস্থা? এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা তপন মাহাতো, সুরেন্দ্র কুইরিরা বলেন, ‘‘করোনার ভীতি এখনও হয়তো মানুষের মন থেকে সম্পূর্ণ যায়নি। তাই হয়তো এই অবস্থা।’’ অযোধ্যা পাহাড়ের হোটেল ব্যবসায়ী মনোরঞ্জন মাহাতো বলেন, ‘‘করোনা একটা কারণ তো অবশ্যই। যার ফলে পর্যটকদের ভিড় কম। তার পর স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে যাওয়াটাও একটা কারণ। এতে আমাদের ব্যবসার অনেকটাই ক্ষতি হচ্ছে।’’
স্থানীয় এক গাড়ি মালিক রামেশ্বর সিংহ লায়া বলেন, ‘‘দুর্গাপুজোর সময় থেকে দোল পর্যন্ত ভিড় ঠাসা পর্যটক আসেন পুরুলিয়ার রূপের টানে। কিন্তু এ বছর ভিড় কম। দোল উৎসবে সামান্য কিছু পর্যটক এসেছিলেন। কিন্তু তার পর সব ঝিমিয়ে গিয়েছে।’’
আবার কবে পর্যটক সমাগমে মুখর হবে পুরুলিয়া, সেই আশায় দিন গুনছেন এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকশো মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy