—প্রতীকী ছবি।
ভিন্ রাজ্যে পড়াশোনা করতে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু বীরভূমের বাসিন্দার। গুজরাতে হোটেল ম্যানেজমেন্টের প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন সিউড়ির বাসিন্দা এক তরুণী। নাম পিয়া দাস। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবারকে আত্মহত্যার কথা জানানো হলেও তা মানতে নারাজ তারা। মৃতার পরিজনদের দাবি, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সিউড়ির মল্লির গুণ পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন পিয়া। গত ফেব্রুয়ারিতে হোটেল ম্যানেজম্যান্টের প্রশিক্ষণ নিতে গুজরাত যান তিনি। সেখানকার এক প্রতিষ্ঠানে কাজ করছিলেন। চলতি মাসেই তাঁর প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ১২ সেপ্টেম্বর সিউড়ির বাড়িতে খবর আসে পিয়া আত্মহত্যা করেছেন। ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ ফোন করে পিয়ার মৃত্যুর খবর জানান।
সোমবার রাতে তাঁর দেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। কী ভাবে পিয়ার মৃত্যু হল তা এখনও অজানা। পরিবারের অভিযোগ, ওই প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আত্মহত্যা বলে দায় সেরেছেন। পুলিশ-প্রশাসন কোনও ভাবে সাহায্য করেনি বলেও অভিযোগ। পিয়ার দিদি পাপিয়ার কথায়, ‘‘আমার বোন কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। ওকে ওঁরা মেরে ফেলেছেন।’’ বোনের মতো দিদিও হোটেল ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া। তিনি রাজস্থানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
পরিবার সূত্রে খবর, পিয়া যে মেসে থাকতেন, সেখানে আরও দু’জন ছিলেন। তাঁরাও হোটেল ম্যানেজমেন্ট ছাত্রী। পিয়ার মৃত্যুর পর তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি বলেও দাবি পরিবারের। মৃতার জামাইবাবুর কথায়, ‘‘ওখানে আমাদের কেউ কোনও সাহায্য করেননি। থানায় গিয়ে বলায়, আমাদের কথা শুনতে চায়নি। এমনকি এফআইআর রুজুর আবেদনও গ্রাহ্য করেনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy