রামনবমীর মিছিলের আগে খড়্গপুর শহরের নিরাপত্তার বিষয়টি খতিয়ে দেখলেন পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। পুলিশের বিভিন্ন আধিকারিককে সঙ্গে নিয়ে নানা এলাকা ঘুরে দেখার পাশাপাশি ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। শনিবার রাতেই একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়ে শহরবাসীকে সতর্ক করেছিলেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেছিলেন, ‘‘যাঁরা উৎসব পালন করবেন, তাঁদের কোনও ভয় নেই। যাঁরা অন্য কিছু ভাববেন, তাঁদের বরদাস্ত করা হবে না।’’
রবিবার দুপুরে খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন পুলিশ সুপার। পরে তিনি বলেন, ‘‘খড়্গপুরে রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী, মহাবীর জয়ন্তীর উৎসবে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে বৈঠক হয়েছে। শনিবার খড়্গপুর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরেছি। আজও ঘুরলাম। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ গোটা টিম রাস্তায় থাকবেন, যাতে মিছিল করতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়।’’
ধৃতিমান জানান, যে জায়গাগুলি সংবেদনশীল, সেখানে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। বার্তা, কেউ আইন লঙ্ঘন করলে সে ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উস্কানিমূলক কিছু ঘটলে কড়া পদক্ষেপ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, ‘‘তিন রকম ভাবে নিরাপত্তা দেওয়া হয়— পুলিশের পোশাক, সাদা পোশাক এবং ট্র্যাফিক পুলিশ। মোট দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকছে খড়্গপুর এবং মেদিনীপুর শহর জুড়ে। তা ছাড়া তিন হাজার পুলিশ থাকছে সমস্ত জেলায়। ইতিমধ্যে কয়েক জনকে আটকও করা হয়েছে।’’