বোলপুর তৃণমূল কার্যালয়ে দীর্ঘদিন পর বুধবার এলেন অনুব্রত মণ্ডল। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।
দু’বছর আগেও মিছিল, জনসভায় নিরাপত্তরক্ষীর কাঁধে ভর দিয়েই হাঁটাচলা করতেন তিনি। দু’বছর পরে, জামিনে জেলায় ফিরে একই ভাবে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে ঢোকেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। পুলিশকর্মীদের কাঁধে ভর রেখে অনুব্রত চলতে পারেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
মঙ্গলবার মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে নিচুপট্টির বাড়িতে ফেরেন অনুব্রত। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তাঁদের সঙ্গী হয় পুলিশ। কারণ, রাজ্য সরকারের তরফে অনুব্রতকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। বাড়ি ফিরে অনুব্রত জানান, তাঁর পা ও কোমরে ‘বেদনা’ আছে। পর দিনই পুলিশকর্মীর কাঁধে ভর দিয়ে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা যায় ‘কেষ্ট’কে। সেই সংক্রান্ত ভিডিয়ো ফুটেজ ছড়িয়ে পড়ায় প্রশ্ন ওঠে, কর্তব্যরত অবস্থায় পুলিশকর্মীরা এ ভাবে সাহায্য করতে পারেন কি? তবে শুক্রবার, নিজের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলেন অনুব্রত ও সুকন্যা। সেখানে নিজেই হাঁটাচলা করেছেন।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষের কটাক্ষ, “তৃণমূল পুলিশ, প্রশাসনকে দলের অংশ করে নিয়েছে।” বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “পুলিশ চলে শাসক দলের কথায়। তা আবারও প্রমাণিত হল।” তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “অনুব্রতের পায়ে ব্যথা। তাই ওঁকে সাহায্য নিতে হয়েছে। এর সঙ্গে পুলিশকর্মীকে ব্যবহারের যোগ নেই।” বীরভূম জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী এই কাজ করা যায় না। তবে, মানবিকতার খাতিরে কোনও পুলিশকর্মী তা করে থাকলে আলাদা বিষয়। এ নিয়ে আমাদের কাছে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy