Advertisement
E-Paper
BB_2025_Lead Zero Banner

২১ ঘিরে ‘অনৈক্য’, অভিযোগ কর্মীদের

তাঁদের অভিযোগ, জেলায় একাধিক গ্রামে আলাদা আলাদা করে নেতা-কর্মীরা পতাকা তুলেছেন। অনেক জায়গায় দু-পক্ষের মধ্যে রেষারেষিও হয়েছে।

মঙ্গলবার কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

মঙ্গলবার কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র

নমিতেশ ঘোষ

শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০২০ ০৬:৫৮
Share
Save

রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বুথে বুথে ছুটলেন। পার্থপ্রতিম রায় গৃহ নিভৃতবাসেই পতাকা তুললেন। কোচবিহারে একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি ১০০ শতাংশ বুথেই হয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তবে সাধারণ কর্মীরা হতাশ। তাঁদের কথায়, এমন দিনেও দলের ঐক্যবদ্ধ ছবিটা তুলে ধরতে পারল না দল।

তাঁদের অভিযোগ, জেলায় একাধিক গ্রামে আলাদা আলাদা করে নেতা-কর্মীরা পতাকা তুলেছেন। অনেক জায়গায় দু-পক্ষের মধ্যে রেষারেষিও হয়েছে। কোথাও কোথাও আবার জেলার শীর্ষ নেতাদেরও একসঙ্গে বসতে দেখা যায়নি। তবে মানতে নারাজ তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ। তাঁর যুক্তি, “কোচবিহার শহরে লকডাউন চলছে। বিধায়কেরা নিজের নিজের এলাকায় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবেই ২১ জুলাই পালন করেছি।”

কোচবিহার শহরে তৃণমূলের জেলা পার্টি অফিস রয়েছে। সেখানে এ দিন দলের কোনও নেতাকেই দেখা যায়নি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শহরে লকডাউন থাকায় কেউ সেখানে যাননি। সুনীতি রোড লাগোয়া ধর্মশালার পার্টি অফিসে অবশ্য কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক মিহির গোস্বামী কর্মসূচি পালন করেন। সেখান থেকেই তিনি ভার্চুয়াল সভায় অংশ নেন। মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সকালেই নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নাটাবাড়িতে পৌঁছে যান। পানিশালা, দেওয়ানহাট, জিরাণপুর, বলরামপুর হয়ে দেওচড়াই, চিলাখানা হয়ে তিনি ফের কোচবিহার শহরে ফেরেন। তিনি নিজের বিধানসভায় প্রায় প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই পৌঁছনোর চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, “একুশে জুলাই পুরোপুরি সফল হয়েছে।”

দলীয় সূত্রে খবর, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার ঘুঘুমারি, পাটছড়া থেকে শুরু করে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কর্মসূচি নিয়ে রেষারেষি ছিল। একই ছবি জিরানপুরেও। সেখানে রবীন্দ্রনাথের অনুগামীরা কর্মসূচি পালন করেন। আরেকটি গোষ্ঠীকে আলাদা ভাবে কর্মসূচি নিতে দেখা যায়। যে ছবি ছিল দিনহাটা বিধানসভার একাধিক গ্রামে। নাজিরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহের অনুগামীদের বাদ দিয়েই কর্মসূচির অভিযোগ ওঠে। তা নিয়েই অস্বস্তি বাড়ে দলে। কর্মীদের অনেকেরই অভিযোগ, ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কোচবিহারে দলের দ্বন্দ্ব আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাঁদের কথায়, এমন ভাবে চললে কোনও ভাবেই দলের ভাল ফল হতে পারে না।

এ দিন ‘গৃহ নিভৃতবাসে’ই কর্মসূচি পালন করেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম। ঘরের মধ্যেই তিনি পতাকা উত্তোলন করেন। তিনি বলেন, “দলে দ্বন্দ্ব থাকার কথা ঠিক নয়। জয়ের লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে।”

TMC Internal Conflict

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।