জখম তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হয় অ্যাম্বুল্যান্সে। —নিজস্ব চিত্র।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের পর এ বার কোচবিহারের দিনহাটা। তৃণমূলের সহায়তা কেন্দ্রে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। এর আগে ভেটাগুড়িতেও এমন অভিযোগ উঠেছিল। মঙ্গলবার দিনহাটা-১ ব্লকের মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের সহায়তা কেন্দ্রে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন এক তৃণমূলকর্মী। তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আর এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যদিও পুরো অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি।
তৃণমূল অভিযোগ, দিনহাটার মাতাল এলাকায় ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়ার জন্য তাদের দলের তরফে একটি সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেই সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির জেলা সম্পাদক অজয় রায় এবং স্থানীয় বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মানব বর্মণের নেতৃত্বে একদল বিজেপির লোকজন ওই সহায়তা কেন্দ্রে হামলা চালান। তাঁদের আটকাতে গিয়ে জখম হন এক তৃণমূল কর্মী। তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
ওই ঘটনা নিয়ে সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘‘গত দু’বছর ধরে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার সাধারণ মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে। রাজ্য সরকার সেই টাকা দিতে উদ্যোগী হয়েছে। যাঁরা ১০০ দিনের কাজ করেছেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি করার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে সহায়তা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আর সেই সহায়তা কেন্দ্রে বিজেপির মানব বর্মণরা হামলা চালিয়েছেন।’’ তৃণমূল বিধায়কের সংযোজন, ‘‘একদিকে কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না। অন্য দিকে, রাজ্য সরকার যখন টাকা দিচ্ছে, সেখানেও বাধা দিচ্ছে বিজেপি। আসলে বিজেপি চাইছে না যে সাধারণ মানুষ তাঁদের প্রাপ্য টাকা পান।’’
পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল কংসের পক্ষ থেকে যে সমস্ত অভিযোগ করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষকে বঞ্চিত করে তৃণমূল তাদের দলের কর্মীদের ভুয়ো তালিকা তৈরি করছে। তাতেই সাধারণ মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে রয়েছেন। সরকারি ভাবে টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে তৃণমূলের পার্টি অফিসে! এই রকম চলতে থাকলে সাধারণ মানুষ প্রতিটি জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy