বিপত্তি: আচমকা অন্ধকার নেমে আসে হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র
বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল অন্তত তিন ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন রইল। বুধবার বেলা ১২টা থেকে তিনটে পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা না থাকায় আটকে পড়ে একাধিক অস্ত্রোপচার। রোগী দেখার সমস্যা তৈরি হয় বহির্বিভাগে। লিফ্ট অচল হয়ে পড়ে। অন্তর্বিভাগে রোগীরা গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকেন। ওটি-তে চলতে থাকা জরুরি একাধিক অস্ত্রোপচার ‘টর্চ’ জ্বালিয়ে সারতে হয় বলেও জানা গিয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, এক দিকে, বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং অন্য দিকে হাসপাতালের জেনারেটর অকেজো হয়ে পড়ায় বিপত্তি ঘটে।
হাসপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ বলেন, ‘‘জেনারেটরে অকেজো হয়ে পড়ায় আরও বেশি সমস্যা হয়েছে। মাঝেমধ্যেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের এই সমস্যা হচ্ছে। সে সময় জেনারেটর দিয়েই কাজ চলে। এ দিনও একই ভাবে তা চলার কথা। কিন্তু ২০০ কেভির জেনারেটর যেটা হাসপাতালের সার্বিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, সেটি অকেজো হওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট’ এবং সিসিইউয়ের জন্য ৬০ কেভির আলাদা জেনারেটর রয়েছে। সেটি যথাযথ কাজ করছিল। একটি জেনারেটর খারাপ হয়ে পড়ায় কর্তৃপক্ষ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কেন না, কোনও ক্রমে ৬০ কেভির জেনারেটরটিও যদি খারাপ হয়ে যায়, তা হলে সামলানো মুশকিল হত।
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রের দাবি, এ দিন হাসপাতালের মধ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবার একটি পরিকাঠামো রয়েছে। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাই সেটির দেখভাল করে। সেটির ‘ইনসুলেটর’ ব্যবস্থা ঠিক করতে কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে বলে আগাম জানানো হয়েছিল। হাসপাতালও সময় দিয়েছিল। সেই মতো কাজ শুরু করা হয়। কিন্তু জেনারেটর অকেজো হওয়াতেই বিপত্তি ঘটে। তা দেখে ২টো নাগাদ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা তাদের কাজ অসমাপ্ত রেখে, বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করলেও বৈদ্যুতিক প্যানেলে সমস্যা থাকায় তা কাজ করছিল না। পরে, তা সারিয়ে বিদ্যুৎ পরিষেবা ঠিক করতে বিকেল ৩টে গড়িয়ে যায়।
হাসপাতালের ওটি-র কর্মীদের একাংশ জানান, চার ব্যাটারির টর্চের সাহায্যে তিন জনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। চোখের অস্ত্রোপচার ১২ জনের করার কথা ছিল। তার মধ্যে অর্ধেকই করা যায়নি। সমস্যা হয় একাধিক প্রসবের ক্ষেত্রেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy