E-Paper

মেলেনি ভাতা-ঘরও, অসুস্থ ছেলেকে রেখে শাক ‘বেচেন’ শান্তি

ভোর না হতেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন শান্তি। মাঠ, বনে-বাদাড়ে ঘুরে শাক তোলেন। কখনও বাজার, কখনও এলাকায় ঘুরে শাক বিক্রি করেন৷ ছেলে ক্ষিতীশ শারীরিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় ভারি কাজ করতে পারেন না।

অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে এ ভাবেই দিনযাপন প্রবীণার। ছবি: সন্দীপ পাল

অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে এ ভাবেই দিনযাপন প্রবীণার। ছবি: সন্দীপ পাল

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:০৫
Share
Save

কুল, নারকেল আর ডুমুর গাছের তলায় এক চিলতে টিনের ঘর। উপরের ফুটিফাটা টিন দিয়ে ঘরের মাটির মেঝেয় রোদ আসে। পড়ে বৃষ্টির জলও। শাক বিক্রির টাকায় চলে সংসার। স্বামীর মৃত্যুর পরে, শারীরিক ভাবে অসুস্থ ছেলেকে নিয়ে চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন শহর সংলগ্ন সানুপাড়ার প্রবীণা শান্তি মণ্ডল। আবেদন করেও বার্ধক্য ভাতা পাননি। মেলেনি সরকারি ঘরও।

ভোর না হতেই ঘুম থেকে উঠে পড়েন শান্তি। মাঠ, বনে-বাদাড়ে ঘুরে শাক তোলেন। কখনও বাজার, কখনও এলাকায় ঘুরে শাক বিক্রি করেন৷ ছেলে ক্ষিতীশ শারীরিক ভাবে দুর্বল হওয়ায় ভারি কাজ করতে পারেন না। একখানা মাত্র জীর্ণ ঘর। বর্ষায় টিনের ফুঁটো দিয়ে জল পড়ায়, পঞ্চায়েত সদস্য ত্রিপল দিয়েছিলেন। বর্তমানে সেই ত্রিপলেরও হাল বেহাল। ঘর লাগোয়া মাটির বারান্দায় অনেক সময় চৌকি লাগিয়ে শুয়ে পড়েন শান্তি। তিনি বলেন, ‘‘এ ভাবে আর কতদিন চলবে! শাক বিক্রি করে সংসার চালান মুশকিল। ঘরের অবস্থাও খুব খারাপ। আবেদন করেও বার্ধক্য ভাতা পাইনি। সরকারি ঘর এল না এখনও।’’

ক্ষিতীশ বলেন, ‘‘ছোটখাট কাজ করতে পারলেও ভারি কাজ করতে পারি না। সংসার কী ভাবে চলছে তা আমরাই জানি।’’ আগে শান্তি মণ্ডলের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। কিছু দিন আগে বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ায় সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন মা ও ছেলে। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গণেশ ঘোষ বলেন, ‘‘নতুন করে ঘর এলেই এই পরিবারটি যাতে পায়, দেখছি। বার্ধক্য ভাতার জন্য আমি উপর মহলে জানিয়েছি।’’ খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কানন অধিকারী বলেন, ‘‘নতুন করে ঘর বরাদ্দ হয়নি। তবে, আগেই বার্ধক্য ভাতার জন্য পাঁচ শতাধিক নামের তালিকা উপর মহলে পাঠিয়েছি। পুজোর আগেই কাজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri PMAY

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।