শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল।
শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের ওপিডি ভবনে গত বুধবার থেকে লিফ্ট বন্ধ রয়েছে। দ্রুত চালুর ব্যপারে কর্তৃপক্ষের কোন হেলদোল নেই বলে অভিযোগ উঠছে। গত শুক্রবারও লিফট বন্ধ হয়েছিল। তা ঠিক করে চালু হয়। বার বার লিফ্ট বন্ধ হওয়া নিয়ে হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
হাসপাতাল সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, ‘‘পূর্ত দফতরের বিদ্যুৎ বিভাগ হাসপাতালের লিফট দেখেন। বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে জানান হয়েছে। যাতে দ্রুত ঠিক করে চালুর করা যায়, সে ব্যপারে আবার বলব।’’ বৃহস্পতিবার অসুস্থ বাবাকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করাতে যান ডাবগ্রামের বাসিন্দা নারায়ণ পাল। লিফ্ট বন্ধ থাকায় তিনি তাঁর অসুস্থ বাবাকে কোলে করে তিন তলায় নিয়ে যান। পরে জানান, তাঁর বাবা গৌতম পাল সুগারের রোগী, এ দিন হঠাৎ পেশার নামায় হাত পা দুর্বল হয়ে পড়েছিল। দাঁড়াতেই পারছিলেন না তিনি। কিন্তু লিফ্ট বন্ধ থাকায় অসুস্থ বাবাকে কোলে করে নিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ রোগীদের সরকারি হাসপাতালের উপরেই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষ উদাসীন। পরিষেবা খারাপ হলেও বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হয়।’’ শুধু নারায়ণ পাল নন, এ দিন শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে রোগীদের কোলে পিঠে করেই ৩-৪ তলা তুলতে হয়েছে বলে রোগীর আত্মীয়রা জানান। অভিযোগ, রোগীকে উপরে নিয়ে যেতে হাসপাতালের পক্ষ থেকে সহযোগিতাও করা হয়নি। লিফ্ট বন্ধ থাকায় সেখানকার কর্মীরাও থাকেন না। কয়েক মাস আগেও জেলা হাসপাতালের লিফ্ট বন্ধ হয়েছিল। দুই দিন ধরে রোগীদের হয়রানি হতে হচ্ছে। তারপরেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না উঠছে প্রশ্ন।
ওপিডি ভবনের বর্তমান লিফ্টের পাশে বিকল্প একটি লিফ্ট তৈরির ব্যবস্থা রয়েছে। জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য জানান, লিফ্টের যন্ত্রাংশ কলকাতা থেকে নিয়ে এসে ঠিক করতে হয়। যন্ত্রাংশ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না উঠছে প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy