বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ‘অবৈধ নির্মাণ’ ঘিরে সোমবার উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের নাকারেরবাড়ি সীমান্তে। অভিযোগ, ওই সীমান্তের কাছে বাংলাদেশের পানবাড়িতে আন্তর্জাতিক আইন না মেনে, নজরমিনার (ওয়াচ টাওয়ার) গড়ছিল বিজিবি। তা নিয়ে বার বার আপত্তি জানায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাতে গুরুত্ব না দিয়ে ওই কাজ চালাচ্ছিল বিজিবি।
সোমবার সীমান্তের ‘জ়িরো লাইন’-এ বিএসএফ ভারতের অংশে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে বিজিবি এবং বাংলাদেশের কিছু বাসিন্দা বাধা দেন। বচসা শুরু হয়। পরে, বাংলাদেশের দিকে নজরমিনার গড়া বন্ধের শর্তে সীমান্তে কাঁটাতার লাগায়নি বিএসএফ।
বিএসএফের উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি সূর্যকান্ত শর্মা বলেন, ‘‘বিজিবির নজরমিনার নিয়ে বৈঠক হবে। তবে কাজ বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। সে মতো কাজ বন্ধ রয়েছে। এলাকাও শান্ত রয়েছে৷’’
নাকারেরবাড়ির ও পারে বাংলাদেশের দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা গ্রাম। তিনবিঘা করিডর দিয়ে সে গ্রামে যাতায়াত করেন বাংলাদেশের বাসিন্দারা। ওই সীমান্তে আগে কাঁটাতারের বেড়া ছিল না। সে সুযোগে সীমান্ত দিয়ে পাচার, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ ওঠে। এর পরে ১৮ কিলোমিটারের ওই সীমান্তের অনেকাংশে বেড়া দেওয়া হয়। তা নিয়ে কিছু দিন আগে সীমান্তে উত্তেজনাও ছড়িয়েছিল। এখনও প্রায় তিন কিলোমিটার উন্মুক্ত সীমান্ত রয়েছে। সোমবার সেই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে বচসা শুরু হয়। স্থানীয় ফুলকাডাবরি পঞ্চায়েতের সদস্য বিজেপির শেফালি বর্মণ বলেন, ‘‘আমরা চাই, দ্রুত ওই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হোক।’’
অন্য দিকে, কোচবিহারের তুফানগঞ্জে বাংলাদেশ সীমান্তের বালাভূত এলাকায় সীমান্তে কাঁটাতার কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে সে ব্যাপারে তুফানগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় বিএসএফ। এ দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসডিপিও (তুফানগঞ্জ) কান্নিধারা মনোজ কুমার বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)