শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অন্তর্গত ফাঁসিদেওয়া ব্লকের জয়ন্তিকা চা-বাগানের বাস লাইনে বাগানের সহকারী ম্যানেজারকে গলা কেটে খুনের ঘটনায় ব্যাপল চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের নাম নীলাঞ্জন ভদ্র (৪৫)। আলিপুরদুয়ারের হ্যামিল্টন গঞ্জের বাসিন্দা। তবে পরিবার নিয়ে শিলিগুড়িতেই থাকতেন তিনি। গোটা ঘটনায় আটক চা-বাগানেরই এক শ্রমিক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, চা-বাগানের দীর্ঘ চার বছর ধরে সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন নীলাঞ্জন। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাইক নিয়ে চা বাগানে ঘোরার সময় চা-শ্রমিকরা ওই ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পাশাপাশি যান নকশালবাড়ির এসডিপিও নেহা জৈন ও সিআই নকশালবাড়ি সার্কেল সৈকত ভদ্র।
বাগানের গ্রুপ কমার্শিয়াল ম্যানেজার আরবি মিশ্র বলেন, ‘‘আমরা শিলিগুড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। সেই সময় বাগান থেকে ফোন পাই। ভদ্রবাবু মারা গিয়েছে। কিছুই বুঝে উঠতে পারিনি। এসে দেখি এই পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসেছে। হ্যামিল্টনগঞ্জের বাসিন্দা হলেও পরিবার নিয়ে এখানেই থাকতেন উনি। এক ছেলে রয়েছে। সে কিছু দিন আগেই শিলিগুড়িতে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে। কারও সঙ্গে কোনও দিন কোনও ঝামেলা হয়নি ভদ্রবাবুর। তাঁর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও পাইনি। কী কারণে এই ঘটনা, কারা ঘটাল, কোনও কিছুই বুঝতে পারছি না।’’
ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এক চা-শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম এলথিরুশ এক্কা। ওই বাগানেরই শ্রমিক এলথিরুশ। পুলিশ সূত্রে খবর, পুরনো বিবাদের জেরেই খুন। অতীতে কোনও এক সমস্যায় এলথিরুশের নাম প্রকাশ্যে আসায় তাঁর সঙ্গে বিবাদ হয়েছিল নীলাঞ্জনের। সেই রাগ থেকেই খুন বলে দাবি করছেন ধৃত এলথিরুশ।
দার্জিলিঙের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিষেক রায় বলেন, ‘‘আমরা এক জনকে আটক করেছি। জিজ্ঞসাবাদ চলছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।’’