মাথাভাঙার মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী। রয়েছেন নিশীথ প্রামাণিকও। মঙ্গলবার। ছবি: উৎপল অধিকারী।
আর জি করের ঘটনার প্রতিবাদে এ বার তৃণমূলের বিরুদ্ধে যৌথ লড়াইয়ের ডাক দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, ‘‘স্বৈরাচারীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে এক সঙ্গে।’’ সেই সঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, পুলিশ যদি না-থাকে, তৃণমূলের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে এক মিনিটও সময় লাগবে না।’’
এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ মাথাভাঙায় পৌঁছন শুভেন্দু। আর জি করের ঘটনার প্ৰতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল এক শিল্পীর উপরে সম্প্রতি হামলার অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। তার প্রতিবাদেই এ দিন মাথাভাঙায় মিছিল ও সভার ডাক দেয় বিজেপি। সেখানেই যোগ দেন শুভেন্দু। মাথাভাঙা চৌপথি থেকে মিছিলে বার হয়ে গোটা শহর ঘুরে ফের চৌপথিতে পৌঁছয়। সেখানে একটি সভা করা হয়।
সেই সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘যে ভাবে সরকারি হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে, তা কি আপনারা কেউ মেনে নিয়েছেন? এটা সরকারি ধর্ষণ-খুন। ১৪ অগস্ট থেকে ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গোটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ রাস্তা নেমেছেন। আমরা সবাই রাস্তায় আছি। এখানকার নাগরিক, শিল্পীরা ওই ঘটনার প্রতিবাদে মোমবাতি, প্রদীপ জ্বালাচ্ছিলেন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস বলছিলেন। তাঁদের উপর হামলা করা হয়েছে।’’ বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘‘এখানকার পুরপ্রধান, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি হামলা করেছে।পুলিশের আইসি, ওসির মদতে তা হয়েছে। বিজেপি তারই প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে।’’
তবে মাথাভাঙায় যে শিল্পীর উপরে হামলার অভিযোগ উঠেছিল, সেই প্রদ্যুৎ সাহাকে এ দিন বিজেপির কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। তাঁর সঙ্গে দেখাও করতে যাননি শুভেন্দু। প্রদ্যুৎ বলেন, ‘‘আমাকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু আমি বামপন্থী মতাদর্শে বিশ্বাসী। তাই বিজেপির কর্মসূচিতে যাওয়ার কোনও বিষয় থাকে না।’’
শুভেন্দুকে পাল্টা বিঁধেছে তৃণমূল। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘আর জি কর ঘটনার প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে আমরাও রাস্তায় আছি। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীরা রাজনীতি করছেন। দিদির হাওয়াই চটির ছবি এঁকে বিদ্রুপ করা হয়। সেই ছবি মুছে দেওয়া হয়। এমন হাজারো ছবি আমরা মুছে দেব।’’
এ দিন শুভেন্দু লোকসভা ভোটের পরে সন্ত্রাস নিয়েও সরব হন। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা জানেন লোকসভা নির্বাচনের পরেই আপনাদের উপরে আক্রমণ চালানো হয়েছে। দিনহাটা, শীতলখুচি, সিতাই, নাটাবাড়ি কোথাও বাকি রাখেনি। তৃণমূলের গুন্ডারা জোর করে আমাদের পঞ্চায়েত সদস্যদের ওই দলে যোগ করিয়েছে। চুরি করে পঞ্চায়েত, পুরসভা দখল করেছে। ডাকাতি করে নিশীথকে হারিয়েছে। তার মানে কি বিরোধীরা শেষ হয়ে গিয়েছে, বিরোধীরা শেষ হয়নি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলি, পুলিশ বাবা পার করেগা। পুলিশ যদি ওদের কাছে না থাকে, ওদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে কোচবিহারের মানুষের এক মিনিটও সময় লাগবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy