—প্রতীকী ছবি।
উত্তরকন্যা অভিযানে গিয়ে জখম বিজেপি যুব মোর্চার জেলা কনভেনর সাধন ঘোষকে বুধবার রাতে উন্নততর চিকিৎসার জন্য হায়দরাবাদে নিয়ে যাওয়া হল। বিজেপির উত্তরকন্যা অভিযানের দিন প্রাণ হারিয়েছেন উলেন রায়। অন্যদের মধ্যে জখম হয়েছেন রায়গঞ্জের বীরঘই পঞ্চায়েতের পোয়ালতোর এলাকার বাসিন্দা সাধন ও কালিয়াগঞ্জের মালগাঁও পঞ্চায়েতের সাহেবঘাটা এলাকার বাসিন্দা সুশীল মণ্ডল।
হায়দরাবাদ থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাধন জানান, শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে অন্য কার্যকর্তাদের সঙ্গে তিনিও ছিলেন। ব্যারিকেডের উল্টো দিক থেকে জল কামান, রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের সেল ও ছররা গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশ। হঠাৎই তাঁর বাঁ চোখে সজোরে আঘাত লাগে। সামনের সব কিছু ঝাপসা হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। চোখের স্ক্যান করে ধরা পড়ে চোখের মধ্যে লোহার তিনটি টুকরো ঢুকে আছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। বুধবার রাতে যুব মোর্চার কার্যকর্তা অঙ্কুর কুণ্ডু সাধনকে নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে হায়দরাবাদের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে একটি বেসরকারি চক্ষু হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা তাঁর।
সাহেবঘাটা এলাকার বিজেপির শক্তি কেন্দ্র প্রমুখের দায়িত্বে থাকা সুশীল বলেন, "বাঁ গাল ও বাঁ কাঁধের পাশে দু'টি রবার বুলেট এসে আঘাত করে। দলীয় কর্মীরা তড়িঘড়ি স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কাঁধের পাশে ক্ষত হয়, গালে সেলাই পরে। বাড়ি ফিরে আসার পরে বুধবার দলীয় কার্যকর্তারা বাড়িতে এসে আমারর শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন।"
বিজেপি যুব মোর্চার জেলা সভাপতি গৌতম বিশ্বাস বলেন, "উত্তরকন্যা অভিযানে দু'টি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার পর ফুলবাড়ি মোড়ে আর একটি ব্যারিকেডের কাছে যাওয়া মাত্র রবার বুলেট, টিয়ার গ্যাসের শেল ও শট গান থেকে নির্বিচারে গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশ। এতেই জখম হন যুব মোর্চা ও বিজেপি কার্যকর্তারা।" অসুস্থ কার্যকর্তাদের সর্বতভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy