Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Rice

ধান জমিতেই, ‘ফাঁকা’ ক্রয়কেন্দ্র

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয়।

ঝাড়াই: কাজ চলছে পুরোদমে। যদিও কবে তা বিক্রি হবে, জােনন না কেউই। বালুরঘাটে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

ঝাড়াই: কাজ চলছে পুরোদমে। যদিও কবে তা বিক্রি হবে, জােনন না কেউই। বালুরঘাটে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

অভিজিৎ সাহা
মালদহ শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২০ ০৮:২৩
Share: Save:

কারও জমির ধান রয়েছে জমিতেই। কারও জমিতে শুরু হয়েছে ধান কাটার কাজ। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেও জমি থেকে ধান না ওঠায় সরকারি শিবিরগুলি চালু হয়েও কার্যত বন্ধ মালদহে। সরকারি শিবিরে চাষিদের ধান বিক্রির প্রতি আগ্রহ বাড়াতে প্রচার শুরু করেছে খাদ্য সরবরাহ দফতর। খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তাদের দাবি, মরসুমের প্রথমেই ধান কেনা শুরু হলে ফড়ে-রাজ আটকানো সম্ভব হবে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহে প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান উৎপাদন হয়। গত বছর জেলায় ধান উৎপাদন হয়েছিল ৬ লক্ষ মেট্রিক টন। চলতি মরসুমে দফায় দফায় ঝড়বৃষ্টিতে ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে জেলায়। তার পরেও এ বার ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা ভাল বলে দাবি কৃষিকর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, আবহাওয়ার কারণে এ বারে ধানের চাষ দেরিতে শুরু হয়েছিল। তাই ধান উঠতে সময় লাগছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৬৫ শতংশ জমিতেই ধান রয়েছে। চলতি সপ্তাহেই সেই ধান উঠে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি দফতরের কর্তারা। তাঁরা জানান, জমি থেকে ধান কাটার পরে তা ঝাড়াই করতে হয়। তার পরে রোদে শুকিয়ে বাজারে বিক্রি করেন চাষিরা।

এ বারে মরসুমের শুরুতেই ধান কেনার উপরে জোর দিয়েছে খাদ্য সরবরাহ দফতর। দফতর সূত্রে খবর, এ বার জেলায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হবে। মোট ১৮টি কেন্দ্রে ধান কেনা হবে। সে জন্য ২ নভেম্বর থেকে জেলায় ১২টি শিবির খোলা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত শিবিরগুলিতে ধান বিক্রি শুরু হয়নি বলে জানিয়েছেন মালদহের খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিক পার্থ সাহা। তিনি বলেন, “ধান এখনও জমি থেকে না ওঠায় চাষিরা তা বিক্রি করতে আসতে পারেননি। চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনতে আমরা প্রস্তুত। তাঁদের মধ্যে সচেতনতা গড়তে প্রচারও চলছে। যাতে চাষিরা সরকারি কেন্দ্রে ধান বিক্রি করেন।”

অভিযোগ, ইতিমধ্যেই ধান কিনতে সক্রিয় ফড়েরাও। চাষিদের বক্তব্য, ফড়েদের ধান বিক্রি করলে সরকারের থেকে কমপক্ষে চারশো টাকা কম পাওয়া যায়। তার পরেও কেন ফড়েদের ধান দিচ্ছেন? পুরাতন মালদহের বাসিন্দা সুকুমার দাস, নরেন বিশ্বাস বলেন, “ফড়েরা বাড়ি থেকে ধান নিয়ে চলে যাচ্ছে। আর হাতে মিলছে নগদ টাকা। তাই বাধ্য হয়েই ফড়েদের ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy