শিলিগুড়িতে বৈঠকে মেয়র গৌতম দেব , দার্জিলিংঙের জেলা শাসক, শিলিগুড়ি পুর নিগম সহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আধিকারিক বৃন্দ। ছবি: বিনোদ দাস।
শিলিগুড়ি শহরে ৫৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুতের ভূগর্ভস্থ লাইন পাতার কাজ করবে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা। বিশ্ব ব্যাঙ্কের আর্থিক সহযোগিতায় ওই কাজ হবে। এই কাজ হয়ে গেলে, শহর জুড়ে মাথার উপর যত্রতত্র বৈদ্যুতিক তার থাকার সমস্যা থাকবে না। পুজোর পরে ২০০ কোটি টাকার প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই তার টেন্ডার প্রক্রিয়া হয়েছে। বুধবার মহকুমা প্রশাসনের ভিডিও কনফারেন্স কক্ষ থেকে শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে কথা বলেন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর শান্তনু বসু।
‘ভার্চুয়াল’ ওই বৈঠকে মেয়র গৌতম দেব, জেলাশাসক এস পুন্নমবলম, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, বিদ্যুৎ বিভাগের মেয়র পারিষদ কমল আগরওয়াল, পুর কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া, বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার শিলিগুড়ি জ়োনের জেনারেল ম্যানেজারেরা ছিলেন। মেয়র বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি শহরের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী, দফতরের প্রধান সচিব এবং মুখ্যমন্ত্রী স্তরে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। এক বারে পুরো শহরে এই কাজ হবে না। কয়েকটি পর্যায়ে করা হবে। আপাতত শহরের প্রধান বেশ কিছু জায়গা ধরে ৫৫০ কিলোমিটার এবং সংলগ্ন রাস্তায় ওই কাজ হবে।’’
পুরসভা এবং বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে মহানন্দা সেতু লাগোয়া মোড় থেকে হাসমি চক হয়ে বাঘা যতীন পার্ক, কলেজ পাড়া এবং চিলড্রেন পার্ক এলাকা, হাসমি চক থেকে বিধান মার্কেট, শেঠ শ্রীলাল মার্কেট, পানিট্যাঙ্কি মোড় হয়ে শালুগাড়া পর্যন্ত কাজ হবে। এই কাজ ১৬টি ওয়ার্ডে হবে। তার মধ্যে রয়েছে পাঁচ থেকে আট, ১০ থেকে ১৪, ১৭ থেকে ১৮, ২৮ এবং ৪১ থেকে ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড। ‘মাইক্রো-টানেল’ তৈরি করে ওই কাজ হবে। আপাতত স্টেশন ফিডার রোড বা বর্ধমান রোডে এই কাজ হচ্ছে না। তা হবে দ্বিতীয় পর্যায়ে। আগামী দু’বছরের মধ্যে প্রথম দফার কাজ করার কথা রয়েছে।
বিদ্যুতের তার ছাড়াও, অন্যান্য তারের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা হবে, সে বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের মেয়র পারিষদ কমল আগরওয়াল বলেন, ‘‘অন্যান্য তারের বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হবে। তা ছাড়া, তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতিতে এখন টিভি বা ইন্টারনেট পরিষেবার তার ক্রমেই উঠে যাচ্ছে।’’
শহর জুড়ে থাকা অন্তত ২৬৫টি ট্রান্সফরমার এবং ৬০ হাজারের মতো বৈদ্যুতিক খুঁটির আর দরকার হবে না। সেগুলো পরীক্ষা করে লাগোয়া গ্রামাঞ্চলে ব্যবহারের কথা ভাবা হবে। বদলে, আধুনিক ট্রান্সফরমার বসবে, যা শহরের সৌন্দর্যায়ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থার সহায়ক হবে। শহরের জনবহুল এলাকায় এই কাজ করার কিছু সমস্যাও রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ট্রান্সফরমার ঘিরে চা বা অন্য কিছুর দোকান রয়েছে। এ ছাড়া, ‘মাইক্রো-টানেলিং’-এর কাজ যন্ত্র বসিয়ে করার সময় ট্র্যাফিকের সমস্যাও হতে পারে। সেগুলো পুরসভাকে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy