ফল প্রকাশের পরে বাড়িতে, বাবা-মায়ের সঙ্গে সক্ষম আগরওয়াল। নিজস্ব চিত্র।
মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় প্রবেশিকা ‘নিট’-এ দেশের সেরাদের মধ্যে রয়েছেন শিলিগুড়ির ছাত্র সক্ষম আগরওয়াল।
পড়াশোনায় প্রিয় বিষয় পদার্থবিদ্যা হলেও পেশায় এক জন সফল চিকিৎসক হতে চান সক্ষম। ‘নিট’-এ ৭২০ পেয়ে দেশের সেরা হয়েছেন তিনি। তাঁর মতো একই নম্বর পেয়েছেন এ রাজ্যের আরও দুই ছাত্র। মাটিগাড়ার একটি উপনগরীর বাসিন্দা সক্ষমের বাবা চেতন আগরওয়াল পেশায় চিকিৎসক। অ্যানাস্থেসিস্ট হিসাবে তিনি একটি নার্সিংহোমে কাজ করছেন। সক্ষমের মা মায়া কুমারী গৃহবধূ।
বিহারের মধুরপুরায় জন্ম সক্ষমের। ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় শিলিগুড়িতে চলে আসা। এখানে দাগাপুরে সিবিএসসি বোর্ডের একটি স্কুলে পড়াশোনা। একাদশ শ্রেণিতে নির্মাণ বিদ্যাজ্যোতি স্কুলে ভর্তি হন সক্ষম। স্কুলে পড়াশোনা চালানোর পাশাপাশিই ‘নিট’-এর প্রস্তুতির জন্য একটি কোচিংয়েও যোগ দেন তিনি। স্কুলের সঙ্গে দুই বছর কোচিংয়ের পড়ার তাল মেলানো কঠিন ছিল। নিয়মিত নিজের পড়াশোনাও সময় করে তাঁকে করতে হয়েছে। কখনও গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা, আবার স্কুল না থাকলে দিনভর পড়াশোনা নিয়ে পড়ে থাকতে হয়েছে। পরিশ্রম করলে সাফল্য আসবে বলেই তিনি মনে করেন।
এত বড় সাফল্য এল কী ভাবে? সক্ষমের কথায়, ‘‘নতুন চ্যাপ্টার পড়ার সঙ্গে কিন্তু পুরনো পড়াগুলো নিয়মিত ঝালিয়ে নিতে হবে। না হলে ভুলে গেলে পরিশ্রম মাটি হবে। তাই নিয়মানুবর্তিতা খুবই জরুরি।’’ খুব কঠিন হলে বাড়িতে ছয়-সাত ঘণ্টা পড়ার জন্য রাখতেন সক্ষম। তাঁর সাফল্যে গর্বিত স্কুলের সকলেই।
প্রস্তুতির সময় গল্পের বইপড়া বা সিনেমা দেখে সময় নষ্ট করতে রাজি নন সক্ষম। তাই সমাজমাধ্যম থেকেও নিজেকে সংযত করে রাখতেন। পড়ার ফাঁকে কখনও ফুটবল বা ব্যাডমিন্টন বা টেবল টেনিস খেলতে ভালবাসেন তিনি। সক্ষমের সাফল্য খুশি বাবা চেতন আগরওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসক হিসাবে একদিন মানুষের উপকার করবে সেটাই আশা করি।’’ দিল্লির এমস-এ সক্ষম পড়তে চান। এখন সেই প্রস্তুতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy