E-Paper

জেলা বিজেপি সভাপতি বদলে ‘তৎপরতা’ সঙ্ঘে

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন বাপি গোস্বামী। জেলা সভাপতির পদে তিন দফায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়েছে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

অনির্বাণ রায়

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৪ ০৬:৪২
Share
Save

বিধানসভা ভোটের আগে, জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির মাথায় সরাসরি নিজেদের কোনও কার্যকর্তাকে বসাতে চাইছে সঙ্ঘ পরিবারের একাংশ, তেমনই দাবি সূত্রের। সাধারণত সঙ্ঘের পছন্দ, অপছন্দের উপরেই বিজেপিতে কে, কী পদ পাবেন তা সাধারণত নির্ভর করে। রাজনীতির ‘বাইরে থাকা’ সঙ্ঘের কার্যকর্তাকে সরাসরি জেলা সভাপতির পদে বসাতে জেলায় সক্রিয়তা শুরু হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের খবর। যাকে দলের অন্দরে অনেকে ‘দিলীপ মডেল’ বলছেন। দিলীপ ঘোষকেও এক সময়ে সঙ্ঘের প্রচারক থেকে সরাসরি রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয়েছিল।

জেলার একটি সারদা শিশুতীর্থ স্কুলের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত এক প্রধান আচার্য তথা প্রধানশিক্ষককে বিজেপির জেলা সভাপতি করতে উঠেপড়ে লেগেছে সঙ্ঘের (আরএসএস) একাংশ। সূত্রের খবর, সঙ্ঘের ক্ষেত্র প্রচারকের কানেও তোলা হয়েছে এই দাবি।

সঙ্ঘের একাংশের দাবি, বিজেপির জেলা নেতৃত্বের একাংশ ‘সবাইকে’ নিয়ে চলতে পারছেন না। তাই দাবি পরিবর্তনের।

২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের পর থেকে বিজেপির জেলা সভাপতির পদে রয়েছেন বাপি গোস্বামী। জেলা সভাপতির পদে তিন দফায় পাঁচ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। বিজেপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বাপির সভাপতি পদে থাকার মেয়াদ পেরিয়ে গিয়েছে। বিজেপির একাংশের দাবি, ‘বিকল্প’ না থাকায় বাপিকেই সভাপতি রাখা হতে পারে।

যদিও বাপি গোস্বামী তথা জেলা নেতৃত্বের তরফে এক মহিলা-সহ তিনটি নাম পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের দাবি। তবে সঙ্ঘের একটি অংশ বর্তমান জেলা সভাপতির পাঠানো কোনও নামেই ‘সিলমোহর’ দিতে চায় না। তারা চাইছে, ‘স্বচ্ছ এবং সর্বজনগ্রাহ্য’ কেউ সভাপতি হন।

সঙ্ঘের একটি অংশ চাইছে, সরাসরি তাদের কোনও কার্যকর্তা জেলা বিজেপির মাথায় থাকুন। বাপি গোস্বামীও সঙ্ঘের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই বিজেপির অন্দরে পরিচিত। যদিও সঙ্ঘের একাংশের দাবি, “সঙ্ঘের দুই কার্যকর্তা ছাড়া, আর কারও কথাই বর্তমান জেলা নেতৃত্ব শোনেননি। ভোটের আগে বার বার করে দুর্বলতা ধরিয়ে দেওয়ার পরেও, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পরামর্শ দিলেও, শোনেননি।”

বিজেপি সূত্রের দাবি, সভাপতির পদ নিয়ে সক্রিয় হয়েছেন সঙ্ঘের অন্যতম প্রবীণ কার্যকর্তা প্রদীপ চন্দও৷ যদিও সঙ্ঘের সীমান্ত চেতনা মঞ্চের উত্তরবঙ্গ প্রান্তের সভাপতি প্রদীপ বলেন, “আমার নাম কেন আসছে, জানি না। আমি বিজেপি করি না। বিজেপি নিয়ে বলার এক্তিয়ারও আমার নেই।”

জলপাইগুড়ি আসনে লোকসভা ভোটে বিজেপি জিতলেও, গত বারের থেকে তাদের ভোট কমেছে। সঙ্ঘ মনে করছে, এই ভোট ক্ষয়ের নেপথ্যে বিজেপির দুর্বলতা ছিল। যে দুর্বলতা দূর করার কোনও কাজই বিজেপির জেলা নেতৃত্ব করেননি। উল্টে, নেতাদের কয়েক জনের ‘ঔদ্ধত্যের’ কারণে দলের পাশ থেকে অনেক সাধারণ কর্মী যেমন সরে গিয়েছেন, তেমনই কিছু কিছু বিবৃতিতে জনমানসেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে।

এই বিষয় নিয়ে জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর মন্তব্য, “দলে রদবদল নিয়ে আমার কী বলার আছে? আমি দলের সামান্য সেবক এবং সৈনিক। সে ভাবেই আছি, থাকব।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri BJP RSS

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।