চাঁচলের সেই গয়নার বিপণি। —নিজস্ব চিত্র।
থানার অদূরে সবার চোখের সামনে ঘটে গেল ডাকাতি। চলল গুলিও। সোমবার ভরসন্ধ্যায় এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদহের চাঁচলে। পুলিশকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়ল জনতা। পুলিশের গাড়ি ঘিরে হল বিক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় চাঁচলে একটি বড় গয়নার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় দুটো বাইক। মোট পাঁচ জন ডাকাত ছিল তাতে। বাইক থেকে নেমেই আগ্নেয়াস্ত্র হাতে তারা গয়নার বিপণিতে ঢোকে। অভিযোগ, কিছু বুঝে ওঠার আগেই গয়নার দোকানের কয়েক জন কর্মীকে মারধর করা হয়। কারও কারও মাথায় আগ্নেয়াস্ত্রের বাঁট দিয়ে আঘাত করা ডাকাতেরা। নির্দেশের সুরে ওই পাঁচ জন দোকানের কর্মীদের বলে সব গয়না বার করতে। ওই ডাকাতির দৃশ্য পথচারীরাও দেখেছেন। কিন্তু ভয়ে কেউ এগোতে পারেননি। তার মধ্যেই কয়েক জন ‘ধর-ধর’ আওয়াজ তুলতেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। অল্প কিছু ক্ষণের মধ্যে দুটো ব্যাগে লুটের মাল ভরে বেরিয়ে যায় ডাকাতদল।
এর পর চরম উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে পুলিশের গাড়ি আসতেই ঘিরে ধরে জনতা। চলে বিক্ষোভ। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন। ওই ডাকাতি প্রত্যক্ষ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী লাল্টু মুখোপাধ্যায়। তাঁকে লক্ষ্য করে একটি গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। ওই ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘মোট পাঁচ জন দুটো বাইকে করে আসে। তাদের প্রত্যেকের হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র ছিল। তারা দোকানে ঢুকেই বন্দুকের বাঁট দিয়ে কর্মীদের মাথায় আঘাত করে। একটার পর একটা গয়না ব্যাগে ভরতে থাকে। আমি ‘ধর-ধর’ বলে চিৎকার করতেই একটি গুলি ছুটে আসে আমার দিকে। তবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছে বলে বেঁচে গিয়েছি।’’ ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, পুলিশ প্রশাসনের কোনও সহযোগিতা তাঁরা পান না। এমনকি, ডাকাতির পর কয়েক জন সিভিক ভলান্টিয়ার এসে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘কোন দিকে গেল ওরা?’’ এতেই ক্ষুব্ধ হন স্থানীয়রা। পরে পুলিশের গাড়ি এলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy