—প্রতীকী চিত্র।
বাবার কাছ থেকে ৫০ টাকা নিয়ে চার দিন আগে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পরিবারের ছোট ছেলে। তার পর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ মেলেনি। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, চেনা-পরিচিত সবার কাছে খোঁজ নিয়েছে পরিবার। কেউ বলতে পারেননি। শুক্রবার সেই যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ ভেসে উঠল এলাকারই একটি পুকুরে। মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের কড়িয়ালি এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম শ্যাম সাহা। বয়স ২৪ বছর। পরিবারের অভিযোগ, শ্যামকে কেউ বা কারা খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন। উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার ভালুকা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা।
ভালুকা ফাঁড়ির করিয়ালি বাজার এলাকায় মধু সাহার ছোট্ট মুদির দোকান রয়েছে। তাঁর ছোট ছেলে ছিলেন শ্যাম। মধু বলেন, ‘‘চার দিন আগে আমার কাছে ৫০ টাকা চেয়েছিল ছেলে। দিয়েছিলাম। সেই যে ঘর থেকে বেরোল, আর ফিরল না...।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘ছেলে বলেছিল, ‘ঘুরে আসছি।’ তার পর থেকে তিন দিন ধরে ওর কোনও খোঁজ পাইনি। এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও হদিস পাইনি।’’
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, শুক্রবার সকালে বাজার সংলগ্ন পুকুরে শ্যামের দেহ ভেসে উঠতে দেখেন তাঁরা। তাঁর শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। পরিবারের দাবি, শ্যাম আত্মহত্যা করেননি। আত্মহত্যার মতো কারণ ছিল না। কেউ তাঁদের ছেলেকে খুন করেছেন। দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজে। মালদহ জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy