তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। —ফাইল চিত্র।
গ্রামের জায়গায় জায়গায় জটলা। আলোচনার কেন্দ্রে এক জনই— তরুণ-তরুণীকে মারধর ও নিগ্রহের ঘটনায় ধৃত তাজিমুল ইসলাম ওরফে জেসিবি। চোপড়ার গ্রামের রাস্তায় ফিসফিস করে অত্যাচারের কথা বলছেন অনেকেই, তবে কেউ সামনে এসে পড়লেই সবাই চুপ। দাবি, সেই নীরবতার কারণ ত্রাসের অভিজ্ঞতা। তাজমুলের গ্রেফতারের পরে এই ছবিই দেখা যাচ্ছে গ্রামের সর্বত্র। জেসিবি গ্রেফতারের পরে, পুলিশ পিকেট বসানো রয়েছে নির্যাতিত তরুণ-তরুণীর বাড়ির সামনে। সোমবার দিনভর ‘নিগৃহীতদের’ চোপড়া থানায় রাখা হলেও বিকেলে তাঁদের পৌঁছে দেওয়া হয় গ্রামে।
চোপড়ার লক্ষীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে বেশি দূরে নয় দিগলগাঁও গ্রামটি। চোপড়ার লালবাজার দাসপাড়া ফাঁড়ি থেকে তার দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। চোপড়া এলাকার ‘ত্রাস’ বলে পরিচিত তাজিমুলকে ঘিরে চর্চা গোটা লক্ষ্মীপুর জুড়ে। সাম্প্রতিক ঘটনার পর থেকেই এলাকা জুড়ে পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে। গ্রামের মোড়েই বসেছে পুলিশ পিকেট। এলাকায় পুলিশের টহলদারি-গাড়ি যাতায়াত করছে। সোমবার বিকেলে গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয় ‘নির্যাতিত’ যুবক-যুবতীকে। সূত্রের খবর, এ দিন তাঁদের দেখতে ভিড় করেন গ্রামের বাসিন্দারা। নিচুতলার কিছু রাজনৈতিক কর্মী-সমর্থককেও দেখা গিয়েছে।
এ দিন ওই বাড়ির উঠোনে চেয়ার পেতে বসেছিলেন তিন পুলিশকর্মী। কেউ বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করলেই আটকাচ্ছিলেন। সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা ছিল।
রবিবার গভীর রাত থেকে চোপড়ার ডাঙাপাড়ার আরও একটি ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে অন্য যুবক-যুবতীকে মারধর করতে দেখা যাচ্ছে জেসিবিকে। সূত্রের দাবি, নতুন ভিডিয়োটি দিন-পনেরো আগের। তবে এ ভিডিয়ো বিষয়ে গ্রানের বাসিন্দারা কেউ মুখ খোলেননি। গ্রামের এক বৃদ্ধার কথায়, ‘‘এলাকা থেকে টাকা-পয়সা তোলার জন্য এ ধরনের ঘটনা খুঁজে বেড়ায় ওরা। কাউকে পেলেই মারধর করে টাকা দাবি করে।’’ এলাকার এক যুবকের বক্তব্য, ‘‘জেসিবি গ্রেফতার হওয়ায় আমরা সবাই খুব খুশি। জানি না, জেসিবি জামিন পেয়ে গেলে অত্যাচার আরও বাড়াবে কি না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy