রাজু বিস্তা।
রাজ্যে ভাগের দাবির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এবং পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষ করলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা।
শুক্রবার পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে তাঁর দাবি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বলছেন উত্তরবঙ্গ আলাদা হলে, এখানকার মানুষ খাবে কী? মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের বক্তব্য আশা করা যায় না। উত্তরবঙ্গের মানুষের অপমান করেছেন। জেনে রাখুন, উত্তরবঙ্গের মানুষ কারও কাছে হাত পাতে না। রাজ্যের ৮০ হাজার কোটি রাজস্বের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা উত্তরবঙ্গ বিশেষত, দার্জিলিং, তরাই-ডুয়ার্স থেকে আসে। উত্তরবঙ্গের মানুষ ওঁর সঙ্গে নয়, ভারত সরকারের সঙ্গে থাকতে চায়।’’
মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র তৃণমূলের গৌতম দেব। তাঁর কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর কথার ভুল ব্যাখ্যা করছেন সাংসদ। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বিজেপি সরাসরি বলুক রাজ্য ভাগ চায়, কি চায় না? যদি রাজ্যভাগ চায়, তা হলে মানুষের বিক্ষোভের এবং প্রতিরোধের মুখোমুখি হবে। ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে কথা বলে কোনও লাভ নেই।’’
জোশীমঠের প্রসঙ্গ টেনে দার্জিলিংয়ের পরিস্থিতি নিয়েও সরকারকে খোঁচা দিয়েছেন সাংসদ। তাঁর দাবি, যখন এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে, তখন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার পাহাড়ে সুসংহত উন্নয়নে ‘নজর’ দেয়নি। সেখানে শুধু কংক্রিটের কাঠামো তৈরি হচ্ছে। কোনও নিয়ম, আইন ‘মানা হচ্ছে না’। তিনি বলেন, ‘‘যতটা উঁচু কাঠামো করা যায়, তার চেয়ে অনেক বড় কাঠামো তৈরি হচ্ছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের নজর রয়েছে। তারা দল পাঠাবে। কোথাও গলদ থাকলে, নজরে আনবে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।’’ ৈশিলিগুড়ির মেয়রের প্রতিক্রিয়া, ‘‘আগে বিজেপি জোশীমঠের পরিস্থিতি সামলাক। তার পরে এ সব বলুক।’’ পরিস্থিতি নিয়ে জিটিএ-র চিফ এগজ়িকিউটিভ অনীত থাপার দাবি, ‘‘কালিম্পং, কার্শিয়াঙে বহুতল সে ভাবে নেই। আমরা এর আগে দার্জিলিং পুরসভায় ক্ষমতায় ছিলাম না। এখন ক্ষমতায় এসেছি। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’’
বিজেপির সাংসদ এ দিন বলেন, ‘‘এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় সরকার দার্জিলিংয়ের উন্নয়নের জন্য পঞ্চাশ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। তাতে রেল, সড়ক পরিবহণ, পানীয় জল, চা বাগান, পর্যটন রয়েছে।’’ মেয়রের জবাব, ‘‘কী করছেন, না দেখে বলব না। কেন না, শিলিগুড়ি পুরসভায় পানীয় জলের যে প্রকল্প কেন্দ্র দিচ্ছে তার ৭০ শতাংশ বরাদ্দ রাজ্য দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy