—প্রতীকী চিত্র।
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী। যদিও রায়গঞ্জ লোকসভার অধীন সাতটি বিধানসভা এলাকার ছ’টিতে এগিয়ে তৃণমূল। তার পরেও কেন হার, তা নিয়ে রাজ্যে নেতৃত্বের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন দলের জেলা নেতৃত্ব। এ বার এ বিষয়ে রিপোর্ট কার্ড জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলার এক বিধায়ক বলেন, ‘‘দলের জেলা সভাপতি, সাংসদ এবং বিধায়কদের কাছে জরুরি ভিত্তিতে লিখিত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, গোটা রাজ্যে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে এবং ভোটের সময়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভোটে দলীয় কর্মীদের ‘নিষ্ক্রিয়তা’, ‘অন্তর্ঘাত’ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে বুথ স্তর ধরে তথ্য সংগ্রহে নেমেছেন দলীয় জনপ্রতিনিধিরা।
রায়গঞ্জ লোকসভার অধীন ইসলামপুর বিধানসভায় ভাল ব্যবধানে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। গোয়ালপোখরে এগিয়ে ছিল অল্প ভোটের ব্যবধানে। চাকুলিয়া, করণদিঘি, রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ এবং হেমতাবাদ বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী পিছিয়ে ছিলেন। চার পুর-এলাকা রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা এবং ইসলামপুরেও পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। যদিও রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনে কৃষ্ণ ফের প্রার্থী হন এবং জেতেন।
গত ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে সাংগঠনিক স্তরে ‘ব্যবস্থা’ নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক। তার পরেই মূল্যায়ন রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো নিয়ে দলের অন্দরে কানাঘুষো শুরু হয়ে যায়। সূত্রের খবর, বিধায়কদের রিপোর্টে দলের অন্দরে ‘কোন্দলের’ বিষয়টি সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। জেলার কিছু পদাধিকারী নেতা এবং জনপ্রতিনিধির ভূমিকা নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে বলে খবর। করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। যেটা বাস্তব, সেই রিপোর্টই পাঠানো হবে।’’ এ বিষয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ‘‘এটা দলের সাংগঠনিক বিষয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy