মালদহে প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা কংগ্রেসের। —ফাইল চিত্র।
বাংলার পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকে এনে মেগা প্রচারের ভাবনা রয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করেছেন রাহুল। ৫ মাসে দীর্ঘ ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ১২টি রাজ্য অতিক্রম করে এই লংমার্চ শেষ হবে কাশ্মীরের শ্রীনগরে। তবে রাহুলের এই ‘যাত্রা’পথে বাংলা নেই। সেখানে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কাকে এনে প্রচার পরিকল্পনার কথা জানালেন মালদহ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী।
আবু হাসেন জানান, প্রিয়ঙ্কার বাংলায় আসার দিন ক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব এই সফরকে কেন্দ্র করে অক্সিজেন পেতে শুরু করেছে। এক সময় গনি খান চৌধুরীর ‘গড়’ হিসেবে পরিচিত ছিল মালদহ। এখন কংগ্রেসের সেই অভেদ্য দুর্গে ফাটল ধরছে। খোদ গনি খানের ভাগ্নি মৌসম বেনজির নুর-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতা এখন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলে। বস্তুত, গত বিধানসভা ভোটে মালদহের ১২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেসের ঝুলিতে একটিও জোটেনি। ইংরেজবাজার এবং পুরাতন মালদহ পুরসভা নির্বাচনেও কংগ্রেস কোনও আসন পায়নি। স্বাভাবিক ভাবে কংগ্রেস কর্মীদের মনোবল তলানিতে। সেখান থেকেই পঞ্চায়েত ভোটের দোরগোড়ায় এসে জেলায় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে চাইছে কংগ্রেস।
গনি খানের ভাই তথা মালদহ দক্ষিণের সাংসদ আবু হাসেম ‘গড়’ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার তিনি জানান, ইন্দিরার নাতনিকে দিয়ে বড় সভা করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের।
তবে জেলা তৃণমূল এ বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুল রহিম বক্সির কথায়, ‘‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের ছোঁয়া পেয়েছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। তাই প্রিয়ঙ্কার জন্য কংগ্রেসের পালে আলাদা করে আর হাওয়া লাগবে না।’’ তাঁর টিপ্পনী, ‘‘উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের অন্যন্য রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ফলাফল দেখলেই ছবিটা বোঝা যায়।’’
অন্য দিকে, বিজেপি নেতা তথা মালদহ উত্তর লোকসভার সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘কংগ্রেসে এখন ফুটো নৌকা। দেশের ভবিষ্যৎ নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত। তাই প্রিয়ঙ্কার সভা নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নই আমরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy