উদয়ন গুহর পাশে (বাঁ দিকে), গুরুর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ও গিরীন (ডান দিকে)।
‘কপাল’ ফেরাতে এ বার সাধুবাবা’র আশ্রয়ে শাসক দলের নেতারা। তার উপর আবার গুঞ্জন ওই সাধুবাবা না কী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ‘লোক’। নেতাদের কেউ সকালে তাঁর কাছে ছুটছেন তো কেউ বিকেলে। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, পার্থপ্রতিম রায় থেকে শুরু করে গিরীন্দ্রনাথ বর্মণ, উদয়ন গুহরাও রয়েছেন ওই তালিকায়। কারও কারও মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদও করছেন সাধুবাবা। শোনা যায়, বাবা রামদেবের কৃপায় সাংসদ হতে পেরেছিলেন এক সঙ্গীত শিল্পী। খেলায় হারের হাত থেকে বাঁচতে স্বামী বাপা মোহান্তের আশ্রমে গিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী। কোচবিহারের সেই সাধুবাবা যিনি মণিবাবার আশ্রমের মহারাজ নামে পরিচিত, তাঁর কৃপায় কোচবিহারের নেতাদের কার কপাল ফিরবে, তা নিয়ে গুঞ্জন চারদিকে। যা শুনে হাসেন নেতাদের অনেকেই।
রবীন্দ্রনাথ অবশ্য বলেন, “আমাদের কি কপাল খারাপ না কি যে ফিরবে। এমন কোনও বিষয় নয়। স্টেশনের কাছেই আশ্রম। তাই গিয়ে দেখা করেছি। সেখানে মন্দির রয়েছে। পুজো দিয়েছি।” অনেকটা একই কথা পার্থপ্রতিমের। তিনি বলেন, “ওই আশ্রমে অনেক মানুষ যান। সাধু মহারাজ সবার সঙ্গেই কথা বলেন। আমরাও গিয়েছি। এখানে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই। তিনি সঙ্ঘের লোক কি না আমি জানি না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি সব সময় ভাল কথা বলেন এটুকু বলতে পারি।”
সূত্রের খবর, শ্রাবণ মাসের প্রথম দিন, সোমবার গিরীন্দ্রনাথ চার ঘণ্টা ছিলেন ওই মহারাজের সঙ্গে। আশ্রমে পুজো দিয়ে গরিব মানুষের হাতে দান হিসেবে কিছু টাকাও তুলে দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “সৌম্যদর্শন ওই মানুষটিকে প্রথমবার দেখেই ভাল লেগেছিল। সেই থেকে আশ্রমে যাই। তিনি রাজনীতির লোক নন বলেই জানি।” উদয়নের কথায়, “সবাই পাওয়ার জন্যেই তাঁর কাছে যায়, এমন বোধহয় ভাবা ঠিক নয়।”
গুঞ্জন অবশ্য বলছে, ‘কপাল ফেরাতে’ সাধুর আশিস লাভ করতেই তাঁর কাছে আনাগোনা বেড়েছে নেতাদর। রবীন্দ্রনাথ মন্ত্রী ছিলেন, এখন পুরসভার চেয়ারম্যান। পার্থপ্রতিম সাংসদ ছিলেন, এখন দলের জেলা সভাপতি। গিরীন্দ্রনাথ দলের জেলা সভাপতি ছিলেন, এখন চেয়ারম্যান। উদয়ন উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হয়েছেন ঠিকই, তার পরে আর কোনও দায়িত্ব পাননি। জেলা পার্টির চেয়ারম্যানের পদ থেকেও তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আশ্রম সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারাজের নাম সুমের গিরি। বাড়ি উত্তরাখণ্ডে। দীর্ঘসময় ধরে পশ্চিমবঙ্গে। একসময় কামাখ্যাগুড়িতে ছিলেন, বছর খানেক ধরে নিউ কোচবিহারে। তাঁর কথায়, “আমার কাছে সবাই আসতে পারেন। তিনি তৃণমূল, বিজেপি, কংগ্রেস বা আরএসএসের লোকও হতে পারেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy