কোচবিহারের বাণেশ্বরের মোহন (কচ্ছপ) বাঁচাতে আলোচনা চলছে। —ফাইল চিত্র।
দুর্ঘটনায় ‘মোহন’ মৃত্যু বন্ধ করা যায় কোন পথে? তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। কেউ বলছেন— ‘‘রাতের অন্ধকার কাটাতে পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন।’’ কেউ বলছেন, ‘‘পাকা সড়কের রং আর মোহনের গায়ের রং একই রকমের। তাই শুধু আলোয় সমস্যা মিটবে না। গাড়ির গতিরোধের প্রয়োজন।’’ কেউ বলছেন, ‘‘ওই রাস্তাটুকুর জন্য পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হোক।’’ উড়ালপুলের দাবিও উঠেছে। কোচবিহারের বাণেশ্বরের মোহন (কচ্ছপ) বাঁচাতে এখন এমনই আলোচনা চলছে।
এই অবস্থায় কোচবিহার ২ নম্বর বিডিও অফিসে একাধিক দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বিজেপি। মোহন বাঁচাতে যথাযথ পদক্ষেপ করার দাবিও জানিয়েছে তারা। ‘মোহন বাঁচাও কমিটির’ পক্ষ থেকেও ধারাবাহিক আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ৯ নভেম্বর সকাল ছ’টা থেকে ছ’ঘন্টার বন্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে কমিটির পক্ষ থেকে। মহকুমাশাসক (কোচবিহার) কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই বিষয়ের দিকে আমাদের নজর রয়েছে। কী পদক্ষেপ করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।’’
অভিযোগ রয়েছে, কচ্ছপের খাবার থেকে শুরু করে দেখভাল কোনওটাই এখন ঠিক মতো হচ্ছে না। এর আগেও দিঘি ও সংলগ্ন এলাকায় কয়েকটি কচ্ছপের মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিলেও দুর্ঘটনা বন্ধ করা যাচ্ছে না। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শিব মন্দিরের দিঘি থেকে ওই কচ্ছপ বাণেশ্বরের নানা জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। তারা মূলত একটি নির্দিষ্ট ‘রুট’ ধরে চলাচল করে। ওই ‘রুট’-এর উপরেই পড়ে কোচবিহার-আলিপুরদুয়ার চলাচলের পাকা সড়ক। সে সড়কেই একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। ‘মোহন রক্ষা কমিটির’ সভাপতি পরিমল বর্মণ বলেন, ‘‘মোহনদের চলাচলের রুট স্পষ্ট। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেই হবে।’’ বিজেপির বাণেশ্বর অঞ্চলের আহ্বায়ক বঙ্কিম সরকার বলেন, ‘‘আমরা ব্লক অফিসে মোহন রক্ষার দাবি জানিয়েছি। প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা না হলে, আন্দোলন জারি থাকবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy