Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪
North bengal

বাড়ছে জল, চিন্তা তীরে

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মহানন্দার জলস্তর ছুঁয়েছিল ২৩.৫০ মিটার। সেই সময় মহানন্দার জলে ভরে মালদহের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বয়েছিল বেহুলা। গাজলে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বয়েছিল মহানন্দার জল। 

জলবন্দি: মহানন্দার তীরে। ইংরেজবাজার শহরে। নিজস্ব চিত্র

জলবন্দি: মহানন্দার তীরে। ইংরেজবাজার শহরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২০ ০৬:৪৭
Share: Save:

চার বছরে মহানন্দার জলস্তর বৃদ্ধির রেকর্ড রয়েছে ২৩.৫০ মিটার। সেই রেকর্ড থেকে এ বার মহানন্দা মাত্র ১.৩৮ মিটার দূরে। পুজোর মুখে তাতে চিন্তায় নদীপাড়ের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের নদীতীরের অসংরক্ষিত এবং সংরক্ষিত এলাকা মহানন্দার জলে প্লাবিত হওয়ায় বানভাসি হাজারখানেক পরিবার। মহানন্দার জলে ফুলেফেঁপে উঠেছে টাঙন, পুনর্ভবাও। তা নিয়ে উদ্বেগে প্রশাসনের কর্তারাও।

সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মহানন্দার বিপদসীমা ও চরম বিপদসীমা রয়েছে ২১ এবং ২১.৭৫ মিটার। তিন দিন আগেই মহানন্দা চরম বিপদসীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সোমবার বিকেলে মহানন্দার জলস্তর রয়েছে ২২.১২ মিটারে। আগামী কয়েক দিন মহানন্দার জল বাড়বে বলে জানিয়েছেন সেচ দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, উত্তরের ভারী বৃষ্টিতে জল বাড়ছে মহানন্দার।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মহানন্দার জলস্তর ছুঁয়েছিল ২৩.৫০ মিটার। সেই সময় মহানন্দার জলে ভরে মালদহের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বয়েছিল বেহুলা। গাজলে ৮১ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বয়েছিল মহানন্দার জল।

ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ শহরের ৮, ৯, ১২, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। দুই শহরের একাধিক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন বানভাসি মানুষ। তবে সকলেরই ঠাঁই হয়নি স্কুলভবনে। অনেকে ত্রিপল দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে বসবাস করছেন। মামনি মণ্ডল, কানাই হরিজন, চেতনা দাস বলেন, “জলবন্দি অবস্থায় বাড়িতে থাকতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। পুরসভা, প্রশাসনের তরফে সাহায্য মিলছে না।”

হবিবপুর, গাজল, বামনগোলার বহু এলাকায় চাষের জমি দিয়ে বইতে শুরু করেছে টাঙন, পুনর্ভবা নদী। গ্রামেও ঢুকতে শুরু করেছে নদীগুলির জল। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র। তিনি বলেন, “ব্লকগুলিতে ত্রাণ মজুত করা হয়েছে। প্রশাসন তৎপর রয়েছে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE