নির্ভয়ে: স্কুল ছুটির পর দল বেঁধে বাড়ি ফেরা. জলপাইগুড়ির বোদাগঞ্জ জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। ছবি: সন্দীপ পাল।
খাল, নদী পেরিয়ে প্রায় ৫০ কিলোমিটার হেঁটে ফেলেছে ‘পাগলা’ দাঁতাল এবং তার দুই সঙ্গী। বনকর্মীদের দাবি, হাতি তিনটি এখন রয়েছে সেবকের কাছে লালটং লাগোয়া এলাকায়। তাতে অবশ্য বনকর্মী বা বাসিন্দারা কেউই নিশ্চিন্ত নন। বনকর্মীদের একাংশের দাবি, যে কোনও সময়ে মুখ ঘুরিয়ে ফের মহারাজঘাটের দিকে দাঁতালটি হাঁটা শুরু করবে না, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। পাশের আপালচাঁদ জঙ্গলেই এ দিন সকালে বুনো হাতির একটি বড়সড় দল ঢুকেছে। সে খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে আতঙ্কও বেড়েছে। সব মিলিয়ে বৈকুণ্ঠপুর বিভাগের জঙ্গলে এখন ১৯টি হাতি রয়েছে বলে খবর। একটি দলে রয়েছে ১২টি হাতি, বাকি সাতটি দলছুট। সুতরাং নিশ্চিন্ত যে থাকা যাচ্ছে না, তা বলাই বাহুল্য।
গত বৃহস্পতিবার মহারাজঘাটের জঙ্গলপথে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসকে আছড়ে পিষে মেরেছিল দাঁতাল হাতিটি। মানুষ দেখলেই তেড়ে আসা এই হাতিটিরই বাসিন্দাদের মুখে মুখে ‘পাগলা’ নামকরণ হয়েছে। পাগলা চলে গেলেও দু’চোখের পাতা এক করতে ভয় পাচ্ছে জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের মহারাজঘাট। যে গ্রাম হাতির চলাচলে এতদিন অভ্যস্ত ছিল, সেই গ্রামই এখন হাতির ভয়ে সন্ধেবেলায় বাড়ির খিল আঁটছে। এই গ্রাম রয়েছে হাতি করিডরের উপরে। ভুটান ও নেপাল এবং পড়শি রাজ্য অসম এবং উত্তরবঙ্গের বনাঞ্চলে বুনো হাতির দলের অবাধ যাতায়াত। ডুয়ার্সের সঙ্গে তরাইয়ের যোগাযোগের হাতি করিডরের অন্যতম সংযোগস্থলে রয়েছে মহারাজঘাট তথা টাকিমারি। কাজেই বছরের যে কোনও সময়ে এই এলাকা দিয়ে হাতি যাতায়াত করে। এলাকার বাসিন্দারা এতদিন হাতির গতিবিধিতে ‘অভ্যস্ত’ও ছিলেন বলে দাবি করেন। যদিও গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা গ্রামের পরিস্থিতিই বদলে দিয়েছে। অমলচন্দ্র দাস বলেন, “সন্ধের পরে রাস্তায় লোকজন বের হতে চাইছে না, হাতির ভয়ে। এমনটা আগে কোনদিন ছিল না।”
বৈকুণ্ঠপুরের ডিএফও হরি কৃষ্ণণ বলেন, “পাশের আপালচাঁদ জঙ্গলে হাতির একটি দল রয়েছে। সেই দলটিকে নজরে রাখছেন বনকর্মীরা। বাসিন্দাদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, বনকর্মীরা রয়েছেন। সকলে তাঁদের সহযোগিতা করুন।”
বাসিন্দাদের কাছে ‘ভয়ের খবর’ও পৌঁছছে বন দফতরের নানা সূত্রে। লাগোয়া কাঠামবাড়ি থেকে শুরু করে আঁপালচাঁদ, গরুমারার জঙ্গলের ভেতরে একাধিক হাতির দল রয়েছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy