এ বার নিজের পায়ে দাঁড়াতে চায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম। তা নিয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চৌধুরীর সঙ্গে নিগমের চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়ের কথা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, প্রথম লক্ষ্য, যথাযথ যাত্রী পরিষেবা। তার পরেই নিজের পায়ে দাঁড়ানো। এ ছাড়া, একাধিক বিষয়ে ভাবা হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘সুষ্ঠু পরিবহণ ব্যবস্থা রাজ্যের মানুষকে দেওয়াই লক্ষ্য। যাতে নিরাপদে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া যায়, তা সুনিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। সেই সঙ্গে নিজের পায়ে দাঁড়ানো ও স্বচ্ছতার দিকেও লক্ষ্য রয়েছে।’’ পার্থপ্রতিম বলেন, ‘‘নিগমের আয় বেড়েছে। মাসে ১৫ কোটি টাকা আয় হচ্ছে। নিজের পায়ে দাঁড়াতে মাসে আরও কম পক্ষে পাঁচ কোটি টাকা বেশি আয় করতে হবে। চেষ্টা হচ্ছে।’’
সূত্রের দাবি, প্রত্যেক মাসে নিগমের ২০ কোটি টাকা খরচ। তার মধ্যে তেল বাবদ মাসে ১০ কোটি টাকা প্রয়োজন হয়। বেতনে আট কোটি টাকা লাগে। আরও নানা খরচ মিলিয়ে দু’কোটি টাকার প্রয়োজন। বেতনের টাকার ৭৫ শতাংশ ভর্তুকি দেয় রাজ্য। তা কমিয়ে আনার কথাও ভাবা হচ্ছে। তাই নিগমের আয় বাড়ানো প্রয়োজন। না হলে, ভর্তুকি কমানো সম্ভব হবে না।
দায়িত্ব নিয়ে উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছিলেন পরিবহণমন্ত্ৰী। মঙ্গলবার শিলিগুড়িতে তিনি পরিবহণ সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা হয়। সেখানেই বর্তমান পরিস্থিত সম্পর্কে জেনে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম ছোট ‘পকেট রুট’-এর পাশাপাশি দূরপাল্লার বাস চালায়। কিছু রুট থেকে ভাল আয় হয়। করোনা-কালের কড়াকড়ির কয়েক মাসে আয় কিছুটা কম হলেও, বাকি মাসে অসুবিধা হয়নি। গড়ে প্রত্যেক মাসে ১৫ কোটির উপরে আয় নিয়ে যেতে পেরেছে নিগম। ২ সেপ্টেম্বর থেকে ‘সবুজের হাতছানি’ প্রকল্পে বাস চালানো শুরু হবে। ডুয়ার্স, পাহাড়ে পর্যটকদের নিয়ে ঘুরবে ওই বাস। তাতে কিছু আয় বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। এর বাইরে যাত্রী পরিষেবার মান বাড়ানো, লাভজনক রুটে বাসের সংখ্যাবৃদ্ধির মতো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বলেন, ‘‘আমরা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারব বলেই বিশ্বাস। সে লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে।’’