Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Hospital

মেলেনি রিপোর্ট, শ্বাসকষ্টেও ‘ঠাঁই’ নেই হাসপাতালে

অভিযোগ, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন ওই ব্যক্তি। পরে লকডাউনের মধ্যেই ট্যাক্সি ভাড়া করে বাড়ি ফিরে যান। গৃহ-নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি।

ফাইল চিত্র

ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০৬:০০
Share: Save:

করোনায় মৃত্যু হয়েছে দাদার। রিপোর্ট না পেলেও উপসর্গ রয়েছে মৃতের ভাইয়ের। বুধবার বিকেলে করোনা সন্দেহ তাঁকে গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। তবে রিপোর্ট পজ়িটিভ না আসায় রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়নি হাসপাতালের কোভিড বিভাগে। অভিযোগ, ঠাঁই হয়নি হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড বা সারি বিভাগেও।

অভিযোগ, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকেন ওই ব্যক্তি। পরে লকডাউনের মধ্যেই ট্যাক্সি ভাড়া করে বাড়ি ফিরে যান। গৃহ-নিভৃতবাসে রয়েছেন তিনি।

এমন অভিযোগে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও ঘটনাটি জানা নেই বলে দায় এড়িয়েছেন তাঁরা।‌

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি বামনগোলা ব্লকের পাকুয়াহাটের ডাকবাংলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চালের ব্যবসা করেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁর দাদার মৃত্যু হয় দক্ষিণ দিনাজপুরের কোভিড হাসপাতালে। তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ ছিল। বুধবার তাঁর পরিবারের সকলের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ওই চাল ব্যবসায়ী কয়েক দিন ধরে জ্বর, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। করোনা সন্দেহে তাঁকে কোভিড অ্যাম্বুল্যান্সে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

অ্যাম্বুল্যান্স চালক বলেন, ‘‘সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ মালদহ মেডিক্যালের কোভিড বিভাগে পৌঁছই। এর পরে ফের মোদিপুকুরে চলে আসি।’’ ওই রোগীর অভিযোগ, লালারসের নমুনা দিলেও রিপোর্ট না আসায় কোভিড বিভাগে তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি। রাত প্রায় সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হাসপাতালেই দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। পরে নিজেই প্রায় ৫০০ মিটার দূরে রথবাড়ি পর্যন্ত হেঁটে যান। তিনি বলেন," লকডাউন থাকায় রাতে গাড়ি মিলছিল না। ১৪০০ টাকা দিয়ে ট্যাক্সি ভাড়া করে বাড়ি পৌঁছই।’’

বামনগোলার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ কুন্ডু বলেন, " উন্নত চিকিৎসার জন্য রোগীকে পাঠানো হয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। তবে সেখানে ভর্তি না নিয়ে ফেরত পাঠানো হবে জানতাম না।’’ মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার অমিতকুমার দা বলেন, ‘‘ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে কোন রোগীকেই কখনও ফেরানো হয় না। কী হয়েছিল দেখা হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Hospital Health Patient Malda
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy