প্রতীকী চিত্র।
ফের গণপিটুনির অভিযোগ। রবিবার উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে পাঁচ যুবককে আটকে মারধর করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। মারধরে দুই যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন বলে খবর। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকদের উদ্ধার করে। জখম ওই দু’জনকে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গণপ্রহারে জখম ওই পাঁচ জন হলেন নৌসাদ আলি, এস্তাব আলি, দিলওয়ার হোসেন, আনোয়ার আলম এবং মুক্তার আলম। পূর্ব ফতেপুরের বাসিন্দা ওই যুবকদের বয়ান অনুযায়ী, ওইদিন বিকেলে পাশের মাটিয়ানি গ্রামের একটি খালে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তাঁরা। তাঁদের পরিবারের তরফে করণদিঘি থানায় অভিযোগে জানানো হয়েছে, বৃষ্টি হওয়ায় পাশের খালে মাছ উঠেছিল। তাই ওঁরা মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ওই গ্রামের কয়েক জন ডেকে নিয়ে গিয়ে বিনা প্ররোচনায় তাঁদের ‘গরু চোর’ বলে মারধর শুরু করেন। অভিযোগ, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে চক্রান্ত করে প্রাণে মারাই উদ্দেশ্য ছিল গ্রামের কয়েকজনের। পুলিশ সময়মতো পৌঁছে তাঁদের উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ‘গরু চোর’ বলে গুজবের জেরেই গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে। যদিও মাটিয়ানি গ্রামবাসীদের একাংশ পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, ওই পাঁচ যুবকের কোনও অসদুদ্দেশ্য ছিল বলে সন্দেহ থেকেই ওই গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
জখম নৌসাদের বড়ভাই আইনুল হক বলেন, ‘‘আমার ভাই ও তাঁর চার বন্ধু মিলে ওই এলাকায় মাছ ধরতে গিয়েছিল। শনিবার বৃষ্টি হওয়ায় মাছ উঠেছিল। আমার ভাইয়ের মাছ ধরার নেশা রয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতেই বাড়ি থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর মারধরের খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে প্রথমে আমাদের বাধা দেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ভাইদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে। তিনি বলেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগে ওদের মারধর করা হয়েছে। এর পিছনে গভীর চক্রান্ত রয়েছে।’’ পুলিশের কাছে সোমবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ দিন জখমদের দেখতে যান ওই এলাকার জেলা পরিষদের সদস্য সোহর বানুর স্বামী তথা তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি মহম্মদ আজাদ আলি। তিনি বলেন, ‘‘নির্মম ভাবে প্রহার করা হয়েছে ওদের। দুই যুবক গুরতর জখম রয়েছে। পুলিশের কাছে দাবি করা হয়েছে গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের ধরার জন্য।’’
জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গুজবের জেরেই এই ঘটনা। সব দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। গণপিটুনিতে জখমদের পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। করণদিঘি থানার আইসি পরিমল সাহা অবশ্য জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy