মালবাজারে নিরঞ্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে ভয়াবহ বিপর্যয়।
দশমীর রাতে প্রতিমা বিসর্জনে বিপর্যয় প্রাণ কেড়েছে আট জনের। গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকে। এই ঘটনার জেরে জলপাইগুড়িতে এ বছর বাতিল পুজো কার্নিভাল। মালবাজারে নিরঞ্জনের সময় মাল নদীতে হড়পা বানে বহু মানুষের ভেসে যাওয়ার ঘটনার পর পুজো কার্নিভাল হবে কি না, তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেছিল জেলা প্রশাসন। বৈঠকের পর জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘মানুষ যখন চাইছেন না, তখন এই রকম একটা অনুষ্ঠান করার কোনও মানে হয় না। পুজো কার্নিভাল বাতিল করা হয়েছে।’’
শুক্রবার সব জেলায় পুজো কার্নিভাল হওয়ার কথা। তার আয়োজনে জেলায় জেলায় তৎপরতা এখন তুঙ্গে। জলপাইগুড়িতেও একই ভাবে কার্নিভালের ব্যবস্থা করা হয়েছিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু বুধবার রাতের ঘটনায় সব বদলে গিয়েছে। বহু মানুষ সমাজমাধ্যমে কার্নিভাল বন্ধের আর্জি জানান। সেই তালিকায় লেখক, প্রাবন্ধিক, সাহিত্যিক, নাট্যকার, কবি থেকে শুরু করে পরিবেশ ও সমাজকর্মীরা রয়েছেন। গল্পকার শুভময় সরকার বলেন, ‘‘ওই পরিস্থিতিতে কার্নিভাল হওয়া উচিত কি না, তা নিয়ে আমাদের মতামত জানতে চাওয়া উচিত ছিল। আমার মনে হয়, কার্নিভাল এ বছর বন্ধ রাখাই ভাল। মানবিক দিক থেকে জেলাশাসকের কাছে আবেদন রইল।’’
প্রাবন্ধিক ও গবেষক গৌরীশঙ্কর ভট্টাচার্যও বলেন, ‘‘কোন রং নয়। সম্পূর্ণ মানবিক আবেদন। একে অপরকে দোষারোপ না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানো উচিত। এক জেলায় এক দিকে কান্নার আওয়াজ, অন্য দিকে উৎসব, এটা ভাল দেখায় না।’’
কার্নিভাল বন্ধের আবেদন করেছেন জলপাইগুড়ির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি। বৈঠক শুরুর আগে অবশ্য জেলাশাসক জানিয়েছিলেন, কার্নিভাল এ বছর সম্ভবত হবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy