Advertisement
E-Paper

Kohinoor Tea factory: সকাল হতেই তালা কোহিনুর বাগানে

কবে বাগান খুলবে, সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লেন ৮৮৮ জন শ্রমিক।

স্তব্ধ: রবিবার রাতের গোলমালের পরে সোমবার তালা পড়ল কোহিনুর চা বাগানের দরজায়। নিজস্ব চিত্র

স্তব্ধ: রবিবার রাতের গোলমালের পরে সোমবার তালা পড়ল কোহিনুর চা বাগানের দরজায়। নিজস্ব চিত্র

রাজু সাহা

শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ০৭:২১
Share
Save

ওমপ্রকাশ উপাধ্যায়কে গ্রেফতারের জেরে রবিবার রাতে বিক্ষোভে উত্তাল হল শামুকতলা। ভাঙচুর করা হল কারখানা ও স্থানীয় এক বিজেপি নেতার বাড়িতে। ওমপ্রকাশ যে বাগানের পরিচালক, সেই কোহিনুর চা বাগানে সোমবার থেকেও ঝুলল তালা। কবে বাগান খুলবে, সেই অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়লেন বাগানের ৮৮৮ জন শ্রমিক। এর মধ্যে সোমবার ওমপ্রকাশকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আলিপুরদুয়ার আদালত। রবিবার থানায় হামলা চালানোর অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদেরও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

সোমবার কোহিনুর চা বাগানের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শামুকতলায় আসেন আইজি নর্থ বেঙ্গল ডিপি সিংহ এবং জলপাইগুড়ি রেঞ্জের ডিআইজি আন্নাপ্পা ই। জেলা পুলিশ সুপার এবং অন্য পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে বিস্তারিত রিপোর্ট নেন তাঁরা। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি কেউ।

এত কিছুর পরেও কোহিনুর বাগানের শ্রমিকরা তাঁদের রবিবার রাতের দাবি থেকে পিছু হটেননি। তাঁরা এ দিনও জানান, তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ওমপ্রকাশকে মুক্তি দিতে হবে। অভিভাবকহীন চা বাগানে কাজ করতে রাজি নন চা শ্রমিকরা। চা শ্রমিক কৃষ্ণা মাহালি বলেন, ‘‘মাত্র ৭ মাস আগেই বাগানের মালিক প্রয়াত সাগরলাল আগরওয়ালের কাছ থেকে বাগানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ওমপ্রকাশ। ৭ মাসে একটি দুর্বল বাগানের চেহারাই পালটে দিয়েছেন তিনি। শ্রমিকরা সময়ে বেতন, পিএফ, গ্র্যাচুইটি— সব পাচ্ছেন। গত ১৪ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বোনাস দিয়েছেন তিনি।’’

বাগান সূত্রে খবর, কোহিনুর বাগান পরিচালনা নিয়ে গত এক বছর ধরে আইনি জটিলতা চলছিল। সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে বাগান পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন কেশব সিনহা। তার পরেই শ্রমিকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়ায় বলে খবর। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা কোর্ডিনেটর পাসাং লামা, আলিপুরদুয়ার-২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অনুপ দাস-সহ অনেকেই সমস্যা সমাধানে পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন একটি বৈঠক ডাকাও হয়েছিল। কিন্তু পরে সেটি বাতিল হয়ে যায়। তবে জট কাটাতে জেলাশাসক দ্রুত বৈঠক ডাকতে পারেন। বাগানের স্থায়ী কর্মীদের একাংশ বলেন, এখন চায়ের ভরা মরসুম। সেকেন্ড ফ্লাসের পাতা রয়েছে। চা শ্রমিকরা যদি পাতা তোলার কাজ বন্ধ করে দেন, তা হলে ফের আর্থিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে বাগানটি।

অনুপ দাস বলেন, ‘‘জেলাশাসক এবং শ্রম দফতরের সঙ্গে কথা বলব। বাগান বন্ধ থাকুক— এটা কেউ চাইবে না।’’

Tea Garden Kohinoor

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।